সুমন, ভ্রম্যমান প্রতিনিধি:
করোনা ভাইরাসের কারণে দুর্ভোগে পড়া দুস্থ-অসহায়, দিনমজুর ও খেটে খাওয়া মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক, সাবেক ছাত্রনেতা এরশাদুল হক রঞ্জু। সোমবার দিন শেষে রাতে কর্মহীন মানুষকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে ত্রাণ দিচ্ছেন তিনি।এর আগে তিনি করোনা ভাইরাসের প্রতিরোধে রংপুর সিটিকর্পোরেশনের ৭,৮,৯ নম্বর ওয়ার্ড,হারাগাছ পৌরসভা, গংগাচড়া উপজেলার মর্ণেয়া ইউনিয়ন সহ আশেপাশের এলাকায় সচেতনতা প্রচারে নিজেই মাইকিং করে ব্যতিক্রমী উদ্দ্যেগ গ্রহণ করেছিলেন।সোমবার সন্ধ্যায় নগরীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৫০ পরিবারের শহীদ ভাটা আশ্রায়ন বস্তিতে গিয়ে ত্রাণ সামগ্রী তুলে দেন তিনি।নিজের অর্থায়নে অর্থ ওয়ার্ডে ২ শত পঞ্চাশ পরিবারের মাঝে ৩ কেজি চাল,২ কেজি আলু,ডাল ১/২ কেজি,তেল ১/২ কেজি,সাবান ২টি,মাক্স ২টি প্যাকেট করে ব্যাগে ভিন্ন আঙ্গিকে বাসায় বাসায় পৌছায় দিচ্ছেন। বস্তির ৫০ পরিবারের নেতা মজিবুর রহমান বলেন,সরকার আমাদের থাকার ব্যবস্থা করে দিছেন কাজ কইরা খাইতাম কিন্তু করোনার কারণে বাড়িত থাইকা বাইর হইতে পারিনা।কাজে যেতে না পারায় খুবই কষ্টে দিনানিপাত করতে হচ্ছে। কাল থেকে কি খাব,তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলাম।কিন্তু আল্লাহ খাদ্য পাঠিয়ে দিয়েছেন।তিনিই রিজিকের মালিক।ভাবতেই পারিনি আমাদের এলাকার ছাওয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতা খাবারের ব্যাগ নিয়ে বাড়িতে আসবেন। ১৮ দোন গ্রামের দিনমজুর কাফি জানান,তিনি বিড়ির কাজ করেন।করোনার কারণে গত দুই সপ্তাহ ধরে কাজ বন্ধ।ঘরে যে খাবার ছিলো তাও শেষ হয়ে গেছে।ভাবছি সামনের দিনগুলো কিভাবে চলবে?সোমবার হঠাৎ বাড়িতে এসে কেউ আছেন-ডাকতেই ঘরের দরজা খুলে দেখি আওয়ামী লীগের নেতা আসছে।তিনি চাল,লবণ,ডাল,আলু ও তেলের একটি বস্তা দিয়ে বললেন,এতে আপনার ৫ দিন চলবে।৫ দিন যাওয়ার পর আবার খাদ্যসামগ্রী পাঠিয়ে দেওয়া হবে। রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক এরশাদুল হক রঞ্জু বলেন-আমরা রাজনীতি করি জনগণের সমস্যা সমাধানের জন্য।মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. রেজাউল করিম রাজু ভাইয়ের নির্দেশে আমার ব্যক্তিগত অর্থায়নে সাধ্যের মধ্যে অসহায় পরিবারের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা মাত্র।যে যার অবস্থান থেকে করোনা প্রতিরোধে এগিয়ে আসার আহবান জানান এই নেতা। তিনি বলেন,করোনার প্রভাবে ৮ নম্বর ওয়ার্ডের গৃহবন্দি ২ শত পঞ্চাশ পরিবারের মাঝে ধারাবাহিক ভাবে খাদ্য সামগ্রী সহ,পরিবারের কোন শিশু যাতে অভুক্ত না থাকে সেজন্য তিনি ১০০ লিটার দুধ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন।এসময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর সেচ্ছাসেবকলীগের সহ-সভাপতি প্রভাষক তারিকুল ইসলাম রনি,৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ নেতা মনজুম কুঠিয়াল,ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ নেতা জামেরুল ইসলাম,ওয়ার্ড সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি খায়রুল হুদা নাছিম,ওয়ার্ড জাতীয় পার্টি সভাপতি মাইদুল ইসলাম,যুবলীগ নেতা মোর্শেদুল ইসলাম,ছাত্রলীগ নেতা আসাদুজ্জামান বাবু প্রমুখ।