রংপুর নগরীর তাজহাট ধর্মদাস বারো আউলিয়া এলাকায় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আসাদুল হককে তার বাসায় গলা কেটে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুবৃর্ত্তরা। ঘটনার পরপরই এলাকাবাসী রতন নামে এক তরুণকে আটক করেছে। শুক্রবার (৫ জুন) দুপুর দেড়টার দিকে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রোকনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ জানায়, আইনজীবী আসাদুল হক জুমার নামাজ পড়ার জন্য ওজু করছিলেন। এ সময় বাড়ির দেয়াল টপকে রতনের নেতৃত্বে কয়েকজন দুর্বৃত্ত বাড়িতে ঢুকে প্রথমে ছোরা দিয়ে তার পেটে আঘাত করে। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপরই আশেপাশের লোকজন রক্তাক্ত ছোরাসহ রতনকে আটক করে। তবে বাকিরা পালিয়ে গেছে।
খবর পেয়ে পুলিশ এসে আইনজীবী আসাদুল হকের লাশ উদ্ধার করে। এলাকাবাসীর হাতে আটক রতনকে থানায় নিয়ে গেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। রতনের বাবার নাম জাফর মিয়া। তিনি পেশায় ড্রাইভার। তার বাড়ি একই এলাকায়।
ওসি জানান, নিহত আইনজীবীর স্ত্রী ও ছেলেমেয়েরা গ্রামের বাড়িতে যাওয়ায় তিনি একা বাসায় ছিলেন। খুনিরা এই সুযোগটাই নিয়েছে। রতনের কাছে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে এই হত্যাকাণ্ড তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এলাকাবাসীর মন্তব্য, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কী কারণে নৃশংসভাবে একজন জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে হত্যা করা হলো তা উদ্ঘাটনের দাবি জানান তারা।
এদিকে আইনজীবী আসাদুল হককে গলা কেটে হত্যার খবর পেয়ে রংপুর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আব্দুল মালেক অ্যাডভোকেটসহ অনেক আইনজীবী নিহতের বাসায় যান। তারা এ ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘প্রকাশ্য দিবালোকে একজন আইনজীবীর হত্যাকাণ্ডকে আমরা মেনে নিতে পারি না। তিনি অত্যন্ত সৎ মানুষ ছিলেন।’
আসাদুল হক হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ৭ জুন জরুরি সভা করে বৃহত্তর কর্মসূচি দেওয়ার কথা জানান আইনজীবীরা।