রংপুর উপ-নির্বাচনের ভোট গ্রহণের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। শুক্রবার থেকে কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমসহ নির্বাচনী সরঞ্জামাদি। রাত পোহালেই কাল শনিবার (৫ অক্টোবর) সকাল নয়টা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলবে ভোট গ্রহণ।
ভোট গ্রহণকে ঘিরে পুরো আসন জুড়ে নেয়া হয়েছে পাঁচ স্তরের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা বলয়। নগরে সদরে চলছে বিজিবি টহল। গুরুত্বপূর্ণ সড়কসহ নগরীর মোড়ে বসানো হয়েছে তল্লাশি চৌকি। শনিবার রংপুরে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।
রংপুর-৩ শূন্য আসনে উপ-নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসার ও রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা জি.এম সাহাতাব উদ্দিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ‘ভোট গ্রহণের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। এ আসনের ১৭৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণে ১৭৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়াও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ১০২৩ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, ২০৪৬ জন পোলিং অফিসার থাকবে।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএম পদ্ধতিতে ১৭৫টি ভোটকেন্দ্রের ১০২৩টি গোপন কক্ষে ভোটগ্রহণ করা হবে। এসব কেন্দ্রের মধ্যে ৭৩টি কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ এবং বাকি ১০২টি কেন্দ্রকে সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, জাতীয় সংসদ-২১, রংপুর-৩ আসনে ভোটার ৪ লাখ ৪১ হাজার ২২৪ জন। এরমধ্যে পুরুষ ২ লাখ ২০ হাজার ৮২৩ এবং নারী ভোটার ২ লাখ ২০ হাজার ৪০১ জন। ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট প্রদানে রংপুরের ভোটাররা অভ্যস্ত। ইতোপূর্বে কয়েকটি নির্বাচনে ইভিএমে ভোট গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিকে ভোট গ্রহণের আগের দিন থেকে ভোটের পরের দিন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকাতে ১৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন থাকবে বলে জানা গেছে। এছাড়াও র্যাবের ২০টি ইউনিট, পুলিশ ও আনসারের ৩ হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবে। নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও ভ্রমমাণ আদালত পরিচালনায় থাকবে ১৮ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও চারজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি দেবদাস ভট্টাচার্য্য জানান, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ভোটের আগের দিন থেকে ফলাফল ঘোষণার পরের দিন পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, আনসার, ভিডিপি, পুলিশ ও বিজিবি, র্যাবের সদস্যরাসহ গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন।