আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আইনি লড়াই ছাড়া বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির কোনো পথ নেই । আজ রাজধানীর হোটেল র্যাডিসনে মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের ৫ ও ৬ নম্বর প্যাকেজের আওতায় আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত ভায়াডাক্ট স্টেশন নির্মাণকাজের জন্য চুক্তি সই অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন ।
এছাড়া সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে উদাসীনতার কোনো সুযোগ নেই বলেও জানান তিনি। চিকিৎসা শাস্ত্রে বিএনপি নেতাদের অভিজ্ঞতা আছে বা তারা চিকিৎসা বিশেষজ্ঞ- আমার জানা নেই। মির্জা ফখরুল সাহেব, মওদুদ সাহেব, নজরুল সাহেব- তারা কেউ ডাক্তার সেটি আমার জানা নেই। কিন্তু তারা যেভাবে কথা বলছেন, আমার মনে হয় তারা সবচেয়ে বিশেষজ্ঞ ডাক্তার।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তার (খালেদা জিয়া) অবস্থার অবনতি হলে সেটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দেখে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আছে, তারাও দেখে। একটি মেডিকেল বোর্ডও তাকে দেখছে। কিন্তু বিএনপি নেতারা যেভাবে তার স্বরে চিৎকার দিচ্ছেন, আমার মনে হয় তার বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে রাজনীতি করছেন- এটি দুঃখজনক। জাতীয়তাবাদী চিকিৎসক দল থেকে যদি সার্টিফায়েড করা হয়, তা হলে তো হবে না। তাদের যে দুজন বারবার সার্টিফায়েড করছেন, তারা কিন্তু দলীয় চিকিৎসক। বিএনপি ঠিক করে একজন কারাবন্দির চিকিৎসা কোথায় হবে, এটি ঠিক নয়। আমাদের নেত্রী যখন কারাগারে, আমরা কিন্তু বলিনি- ওই হাসপাতালে নিয়ে আসুন, ওই হাসপাতালে নিয়ে আসুন। এটি চিকিৎসকরাই ঠিক করবেন।
সেতুমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা আন্দোলন আন্দোলন করছেন। আন্দোলনে কেউ সাড়া দিচ্ছে না। সাড়া দেয়ার সময়ও নেই। সাড়া দেয়ার অনেক সময় গড়িয়ে গেছে। জনগণ আছে নির্বাচনের মুডে। কিন্তু তারা (বিএনপি) জনগণকে ডাক দিচ্ছে আন্দোলনে।
তিনি বলেন, দুটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন হচ্ছে, তারাও এতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। পরে আরও চারটি সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। সেমিফাইনাল পর্ব চলছে। এর পর ফাইনাল আসবে ডিসেম্বর মাসে, জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তাই বেগম জিয়ার ব্যাপারটি তা লিগ্যাল ব্যাটেলে গেলেই ভালো করবে। লিগ্যাল ব্যাটল ছাড়া খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার দ্বিতীয় পথ খোলা নেই।