বিবিধ

শুভ হত্যা কান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

Published

on


নোয়াখালীী প্রতিনিধি:

সোনাইমুড়ীর কাবিলপুর গ্রামে গত ১৮-০৩-২০২০ইং তারিখে ইব্রাহিম খলিল সুমন প্রকাশ শুভ(১৮) কে জোরে সি এন জি চালানো মতো তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নির্মমন ভাবে হত্যা করা হয় । সেই হত্যা কান্ডের ঘটনায় শুভর বাবা নজির ইসলাম বাদি হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এই হত্যা কান্ডকে আড়াল করার জন্য আসামী পক্ষ একের পর এক বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে নিহত শুভর বড় ভাই মো. হারুনুর রশিদ। গত ২৫ এপ্রিল ২০২০ ইং রোজ শনিবার নোয়াখালীর মাইজদীতে দৈনিক নোয়াখালীর সময়ের কার্যালয়ে ”শুভ হত্যাকান্ডকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে” সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নিহত শুভর পরিবার ও আত্তীয় স্বজন। তারা বলেন হত্যা মামলাকে তুলে নেওয়ার জন্য তাদের উপর রাজনৈতিক ও সামাজিক চাপ সৃষ্টি সৃষ্টি করা হচ্ছে। এবং এই ঘটনার সাথে জড়ানো হচ্ছে প্রাক্তন জনপ্রতিনিধি নুরুল হক মেম্বারের পরিবারসহ গ্রামের আরো কয়েক যুবককে। শুরু হয়েছে অনেক জটিল গ্রাম্য রাজনীতির জালবোনা।
গত ১৭ এপ্রিল কে বা কারা কাবিলপুর গ্রামের আওয়ামী লীগ অফিসে গভীর রাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। প্রচার চালনো হয় এই আগুন নাকি পোরকরা গ্রামের লোকেরা দিয়েছে, নেতৃত্ব নাকি দিয়েছে চাষীর হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মেহরাব হোসেন ভুট্টো। দীর্ঘদিন থেকে চাষীরহাট ইউনিয়ন এর আওয়ামী লীগ কমিটি গঠন নিয়ে বিভিন্ন গ্রুপের দ্বন্দ্ব চলছিল। ভুট্টোর সঙ্গে একত্রে মাছ চাষের প্রকল্পে রয়েছে নুরুল হক মেম্বারের ছেলে মহিউদ্দিনের। অপ-প্রচারে জড়িয়ে দেওয়া হলো মহিউদ্দিনের নামও।
গত ২১ এপ্রিল ভোরে কাবিলপুরের মার্কেটে একটি অগ্নিকান্ডের সুত্রপাত হয়। এ ঘটনায় ফায়ার সার্ভিস থেকে স্পষ্টত জানিয়েছে বৈদি্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকা-ের সুত্রপাত হতে পারে বলে জানান। আর ওই অগ্নিকাণ্ডে রাহাত হোসেন নামের এক দোকানদার বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যায়। এই ঘটনাকে নিয়েও শুরু হলো অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের খেলা। চারদিকে সংবাদ রটিয়ে দেওয়া হয় ভুট্টো এবং মহিন নাকি এই অগ্নিসংযোগ ও হত্যার ঘটনাটি ঘটিয়েছে। ফলে পুলিশ তাদের দুজনকে গ্রেফতার করে। এই মামলায় আসামি করা হলো নুরুল হক মেম্বারের নির্দোষ আরো তিন পুত্রকে।
এই সবগুলো ঘটনার তদন্ত হওয়া জরুরি বলে মত সচেতন মহলের। কারণ এখানে নুরুল হক মেম্বারের পরিবারের কোনো যোগসূত্র না থাকা সত্ত্বেও তার চার পুত্রকে আসামী করা থেকে বোঝা যায় কেউ পূর্ব শত্রুতা চরিতার্থ করতে চাইছে। কারা আওয়ামীলীগ অফিসে হামলা চালিয়েছে আর দোকানে আগুন কীভাবে লাগলো সবকিছুই তদন্ত সাপেক্ষ। সংবাদ সম্মেলনে তারা আরো বলেন, আমাদের পরিষ্কার কথা হচ্ছে এই ধরনের ঘৃণ্য সহিংসতার সঙ্গে আমাদের দূরতম সম্পর্কও নেই। আমরা ষড়যন্ত্রের শিকার। আমরাও এই ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকা-ের নিন্দা জানাই। আমরা দেশের আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আইন মান্যকারী নাগরিক । সমাজের যাবতীয় অন্যায় অশান্তি বিশৃংখলার ঘোরতর বিরোধী।
সংবাদ সম্মেলনে চাষীর হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মেহরাব হোসেন ভুট্টোর স্ত্রী বিলকিছ বেগম বলেন আমি পরিষ্কার ভাবে বলতে চাই আমার স্বামী এবং তার ব্যবসায়ীক সহযোগী মহিউদ্দিন এবং যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তারা সবাই নির্দোষ নিরপরাধ। তারা রাজনৈতিক প্রতিহিংশার শিকার। আমার নির্দোষ স্বামীকে মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় আটক করার কারণে আমরা অবর্ণনীয় দুঃখ কষ্টে দিনযাপন করছি । আমরা এই ষড়যন্ত্র থেকে রেহাই চাই সুষ্ঠু বিচার চাই। আমার স্বামী আওয়ামীলীগ অফিস পোড়াতে যাবে কেন? আমার স্বামী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের একজন সাধারণ সম্পাদক, এখানে যাদেরকে আসামী করা হোয়েছে কেউ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি , যুবলীগ নেতা ও ছাত্রলীগ নেতা । আমার স্বামীসহ যাদেরকে আসামী করা হোয়েছে তারা আওয়ামী লীগ এর জন্য কি অবদান রেখেছে তা সবাই জনে। এখন আপনাদের কাছে হাজির হোয়েছি আপনারা মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাটি জাতির সামনে তুলে ধরুন। আমার নিদোষ স্বামী সহ অন্য আসামিদেরকে এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি প্রদান করেন এবং পুলিশী হয়রানী বন্ধ করা হোক। এ ছাাড়া সংবাদ সম্মেলনে আরো ১০টি দাবি গণমাধ্যমের মাধ্যমে প্রশাসন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনায় তুলে ধরেন ভুক্তভোগী পরিবার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version