শেরপুরের পৌর এলাকার চাপাতলী মহল্লায় বিয়ের গাড়ি সাজানো ফুল ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে দুই শিশুর ঝগড়ার ঘটনায় বিয়ে বাড়িতে হামলায় ৬ জন আহত হয়েছে। সেইসাথে বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেল, থালা-গ্লাস, চেয়ার-টেবিল ভাংচুর করা হয়েছে। আহতারা হলো, আক্কাস আলী, লতিফ মিয়া, রিয়াদ, সাফিয়া আক্তার, সোহান ও পিন্টু। তারা সবাই প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার রাতে পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ডের চাপাতলী মধ্যপাড়া মহল্লায় জনৈক আমীর আলীর মেয়ের বিয়ে হচ্ছিল। সন্ধ্যা ৭ টায় পাশ্ববর্তী জামালপুর জেলার বক্শীগঞ্জ থেকে বরযাত্রী আসেন। বিয়ের কাজ শেষ পর্যায়ে বাড়ির সামনে রাখা বরযাত্রীর সাজানো একটি প্রাইভেট কারের ফুল ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী মৃত হাফিজুলের বাড়ির এক শিশুর সাথে বিয়ে বাড়ির এক শিশুর ঝগড়া বাঁধে। এসময় হাফিজুরের দুই পুত্র রনি ও শফিকুলের সাথে বিয়ে বাড়ির লোকদের সাথে বাকবিদ্বন্ডা শুরু হলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর এসে দুই পক্ষকে মিমাংসার জন্য সালিশ বৈঠকে বসেন। সালিশের এক পর্যায়ে আবারও উত্তেজিত হয়ে হাফিজুলের দুই পুত্র রানি ও শফিকুলসহ বেশ কয়জন এসে বিয়ে বাড়ির প্যান্ডেল, টেবিল-চেয়ার ও প্লেট-গ্লাস ভাংচুর করে চলে যায়। পরবর্তীতে তারা নিজেরাই তাদের নিজেদের বাড়ি-ঘর দা দিয়ে কুপিয়ে ছিদ্র করে। পরে এ ঘটনায় সদর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
এ বিষয়ে আমির আলীর ভায়রা মিনাল জানায়, হাফিজুলের দুই পুত্রসহ আশাপাশের নেশাখোরদের নিয়ে বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে তারা নিজেরাই আবার ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহের জন্য নিজেদের ঘর-বাড়ি কুপিয়েছে।
অপর দিকে হাফিজুলের মেয়ে সুপ্তি জানায়, বিয়ে বাড়ির লোকজনই নিজেদের টেবিল-চেয়ার ভেঙ্গে আমাদের বাড়ি-ঘরে হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে পৌর কাউন্সিলর মো. আব্দুস সাত্তার জানায়, হাফিজুলের দুই ছেলেসহ অন্যান্যরা এসে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়েছে। এসময় তাদের ফেরাতে গিয়ে আমিও আঘাত পেয়েছি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বছির আহম্মেদ বাদল জানায়, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। মামলার প্রস্তুতি চলছে।