সোনাইমুড়ী (নোয়াখালী) প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর একটি মাধ্যমিক স্কুলের দাতা সদস্যের ওপর অফিস সহকারী কর্তৃক হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত ১৪ নভেম্বর উপজেলার ভূইয়া বাজার হনুফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত আহাম্মদ উল্লাহ হাসপাতাল থেকে ফিরে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। স্কুলের অফিস সহকারী শহিদ উল্ল্যাহ সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হচ্ছেন উপজেলার চাষিরহাট ইউনিয়নের সাহারপাড় এলাকার মৃত আ: হাকিম ভূইয়ার ছেলে মো: সহিদ উল্লাহ, মৃত আজমল ভূইয়ার ছেলে শাহজাহান ভূইয়া, সহিদ উল্লাহর ছেলে মাজহারুল ইসলাম সৌরভ, মো: জসিম উদ্দিন ভূইয়ার ছেলে মো: জিসান ও মৃত আলী আজম ভূইয়ার ছেলে মো: ইছহাক ভূইয়া। এছাড়া আরো ১০ জনকে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ও অভিযুক্তরা সকলে একই এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী আহাম্মদ উল্লাহ ভূইয়া বাজার হনুফা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য হিসেবে ৫০ হাজার টাকা দান করেন। এককালীন দাতা সদস্যের ভোটার তালিকায় অন্তভূক্ত হতে আবেদন করেন। পরে স্কুল কর্তৃপক্ষ তাকে ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্ত করেন। এই ঘটনায় স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ইদ্রিস ভূইয়ার জামাতা ও স্কুলের অফিস সহকারী শহিদ উল্ল্যাহ ঈর্ষান্বিত হয়। ভুক্তভোগী স্কুলের দাতা সদস্য হওয়ায় বিভিন্ন সময় গালিগালাজ ও হুমকি ধমকি দিতেন শহিদ উল্ল্যাহ। কয়েকবার এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায় স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্বে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি লিখিত ভাবে জানান ভুক্তভোগী আহাম্মদ উল্লাহ। এই ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন অফিস সহকারী শহিদ উল্ল্যাহ।
গত ১৪ তারিখ স্কুলের অভিভাবক সদস্যদের সভায় উপস্থিত হন অভিযোগকারী আহাম্মদ উল্লাহ। সভা শেষে স্কুলের অফিস রুমে সকল সদস্যদের বসতে বলেন প্রধান শিক্ষক। এসময় সকল অভিভাবক সদস্যদের সাথে অফিসে বসলে আহাম্মদ উল্লাহর ওপরে অতর্কিত হামলা করেন অভিযুক্ত অফিস সহকারী শহিদ উল্ল্যাহ। উপস্থিত সকলে ঘটনা সামাল দিলে পরবর্তীতে শহিদ উল্ল্যাহ মোবাইল করে অন্যান্য অভিযুক্তদের স্কুলে ডেকে এনে সকলে মিলে হামলা চালায় আহাম্মদ উল্লাহর ওপরে। একপর্যায়ে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় পরবর্তীতে আহত আহাম্মদ উল্লাহকে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
হামলার শিকার আহাম্মদ উল্লাহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে এই ঘটনার সুস্ঠু বিচার দাবি করেছেন। বর্তমানে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন বলেও জানান।