আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, সড়ক দুর্ঘটনায় ইচ্ছাকৃত হত্যা তদন্তে প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রাখা হয়েছে।
সোমবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে উপস্থিত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যদি প্রমাণিত হয় দুর্ঘটনাটি ইচ্ছাকৃতভাবে ঘটানো হয়েছে, তাহলে তার বিচার হবে ৩০২ ধারায়।
দ্রুত বিচার আইনে দুর্ঘটনার মামলার বিচার হওয়া সম্ভব জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় যদি প্রমাণিত হয় যে চালক ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনাটি ঘটিয়েছে তখন তার ১০৩ ধারায় বিচার হবে না। তাহলে তার বিচার হবে ৩০২ ধারায়। সবাইকে মাথায় রাখতে হবে দুর্ঘটনা ঘটলেই তার মৃত্যুদণ্ড হবে তা কিন্তু নয়। তদন্তে যদি প্রমাণিত হয় ইচ্ছাকৃত দুর্ঘটনায় প্রাণহানি ঘটেছে। সে ক্ষেত্রে ৩০২ ধারা প্রযোজ্য হবে।
‘আইনটি কোন প্রক্রিয়ায় বাস্তবায়িত হবে’ সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংসদের আগামী অধিবেশনে আইনটি পাসের মাধ্যমে তা কার্যকর করা হবে। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৮৪, ৯৭ ও ১০৩ ধারায় সংঘটিত অপরাধগুলো জামিন অযোগ্য। এই আইনটি মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদনের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবি পুরোপুরি পূরণ হলো বলেও জানান মন্ত্রী।
আনিসুল হক বলেন, এই আইনে মামলার বিচার দীর্ঘায়িত হওয়ার সুযোগ নেই, গুরুত্বপূর্ণ হলে তা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হবে। এ মামলায় ৩০৪ ধারায় (সর্বোচ্চ সাজা পাঁচবছর কারাদণ্ড ও জরিমানা) বিচার হবে, তবে তদন্তে সড়ক দুর্ঘটনা প্রমাণিত না হলে ৩০২ ধারায় (মৃত্যুদণ্ড) বিচার হবে।
আইনটি পূর্ণাঙ্গ কিনা জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, যদি কিছু বাকি থাকে তা বিধিতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বাসস