Highlights

২৪ পেড়িয়ে ২৫ বছরে পদাপর্ণ করলো বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর

Published

on

পঞ্চগড় : পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর ২৪ বছর পূর্ণ করে ২৫ বছরে পা রাখছে। বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর উদ্বোধনের ২৪ বছর পূর্ণ হয়েছে। ১৯৯৭ সালের ১ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড়ের বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর নেপাল-বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য পরিবহণ কার্যক্রম শুরুর মধ্য দিয়ে বন্দরে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম শুরু হয় যা দীর্ঘ ২৪ বছর পূরণ করলো।

স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৭ সালে তৎকালীন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের কার্যক্রমের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

উদ্বোধনের পর এ স্থলবন্দর দিয়ে নেপাল ও বাংলাদেশের মধ্যে পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমদিকে নেপালের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি রফতানি শুরু হলেও পরবর্তীতে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার,বাণিজ্য ঘাটতি পুরণ, বাণিজ্যের সহজিকরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে ২০১১ সালের ২২ জানুয়ারি থেকে ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের পণ্য আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের ঘোষণা দেন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের বিপরীতে ভারতের ফুলবাড়িতে ভারতের (তৎকালীন অর্থমন্ত্রী) সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রবীণ রাজনীতিবিদ প্রণব মুখার্জি এবং বাংলাবান্ধায় তৎকালীন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। এরপর পর্যাযেক্রমে নেপাল ও ভূটানের সাথে কার্যক্রম শুরু হয়।

এদিকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে সিএন্ডএফ এজেন্ট এর সভাপতি রেজাউল করিম রেজা ও ব্যবসায়ী মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, শুরু থেকে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ব্যবসায়ী কার্যক্রম সুন্দর ভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাবান্ধা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কুদরত-ই-খুদা মিলন বলেন,বাংলাদেশের সাথে ভারত, নেপাল ও ভূটারের সাথে সম্পর্ক জোরদার,বাণিজ্য ঘাটতি পুরণ,আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের সহজিকরণ এবং ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের লক্ষে এ বন্দর চালু করা হয়। ইতিমধ্যে এই বন্দরের কার্যক্রম সুন্দর ভাবে পরিচালনা হয়ে আসছে। তিনি আরো জানান, ইতিমধ্যে রেলমন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বাংলাবান্ধা পর্যন্ত রেল লাইন করার প্রক্রিয়া চলছে। দ্রুত এই রেল লাইন বাস্তবায়ন হলে বন্দরের কার্যক্রম অনেকটাই এগিয়ে যাবে।

বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের সহকারী কমিশনার মবিন-উল-ইসলাম জানান,বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরটি করোনাকালীন সময় গত ২০২০-২১ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩৩কোটি টাকা। বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরের রাজস্ব আদায় হয়েছে ৬১ কোটি টাকা। যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ২৮ কোটি টাকা বেশী। এসময় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮৩%। তিনি আরো জানান,স্থলবন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অক্লন্ত পরিশ্রম ও ব্যবসায়ীদের সহযোগিতার কারণে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে প্রায় দিগুন রাজস্ব আদায়ের সম্ভব হয়েছে।

আসাদুজ্জামান আপেল/শাহাদৎ হোসেন/বিডিপি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version