আগামীকাল হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের দুই মেয়রপ্রার্থীর আবেদন ও নির্বাচন কমিশনের আপিলের শুনানি একসঙ্গে অনুষ্ঠিত হবে
বুধবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চে এ দিন ধার্য করে দেন।
এর আগে বিএনপির মেয়রপ্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার এবং আওয়ামী লীগের জাহাঙ্গীর আলম হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে যে আবেদন করেছেন, সোমবার তা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়েছিলেন চেম্বার বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী।
সে অনুযায়ী, আবেদন দুটি বুধবার আপিল বিভাগে উঠলে নির্বাচন কমিশনের আইনজীবী মো. ওবায়েদ রহমান মুস্তফা আদালতকে জানান, তারাও হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল ফাইল করেছেন।
প্রধান বিচারপতি তখন তাকে বলেন, বাকি দুপক্ষ আগেই আবেদন করেছে, আপনারা কোথায় ছিলেন?
জবাবে ওবায়েদ মুস্তফা বলেন, গতকাল ওকালতনামা পেয়েছি, আজ ফাইল করেছি।
প্রধান বিচারপতি তখন শুনানি বুধবার হবে না (নট টুডে) বলে জানালে হাসান উদ্দিন সরকারের আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন আদালতকে বলেন, ১৫ তারিখ নির্বাচন, শুনানি এখনই করা দরকার।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন তখন বলেন, ১৫ তারিখ নির্বাচন, আগামীকাল শুনানি হলে কিছু হবে না।
নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী, ১৫ মে গাজীপুরে ভোট করতে সব প্রস্তুতি এগিয়ে নেয়া হচ্ছিল। সে অনুযায়ী প্রার্থীরাও প্রচারে ব্যস্ত ছিলেন। জমেও উঠেছিল প্রচার।
কিন্তু সাভারের শিমুলিয়া ইউনিয়নের ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনে অন্তর্ভুক্তির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এবিএম আজহারুল ইসলাম সুরুজ একটি রিট আবেদন করলে হাইকোর্ট গত রোববার এ সিটির নির্বাচন তিন মাসের জন্য স্থগিত করে দেন।
সেই সঙ্গে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ছয়টি মৌজা গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত করে জারি করা গেজেট এবং সম্প্রতি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের তফসিল কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।