জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষ্যে আজ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সকাল ১০টা ৬ মিনিটে সমাধি সৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান তিনি। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল প্রধানমন্ত্রীকে গার্ড অব প্রদান করে। পরে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুর কাদের, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, এলজিআরডি মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, নৌমন্ত্রী শাহাজান খান এমপি, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য কাজী আকরাম উদ্দীন আহমেদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম এমপি, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ, প্রধানমন্ত্রীর চাচাতো ভাই শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি, গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসলাম খান, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুর কাদেরের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি। এ সময় বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধ কমপ্লেক্স মসজিদ প্রাঙ্গণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবৃন্দ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়াসহ গোপালগঞ্জে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পুলিশ, ডিবি পুলিশ, র্যাবের পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা মাঠে কাজ করছেন।
এদিকে, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে গোপালগঞ্জের সীমানা মুকসুদপুর থেকে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার চরগোবরা এবং ঘোনাপাড়া থেকে টুঙ্গিপাড়া বঙ্গবন্ধু সমাধিস্থল পর্যন্ত অন্তত পাঁচ শতাধিক কালো কাপড়ে মোড়া তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে।
৭৫-এর ১৫ আগস্ট নিহত বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নামে এসব তোরণ নির্মাণ করেছেন জেলা-উপজেলা আওয়ামী লীগ, জেলা যুব লীগ, বিভিন্ন জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন সংগঠন ও বিশিষ্ট ব্যক্তি। এ ছাড়া গোপালগঞ্জ থেকে টুঙ্গিপাড়া পর্যন্ত সড়কের দুই পাশে বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত প্লাকার্ড লাগানো হয়েছে।
টুঙ্গিপাড়ার বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও বাড়িতে কালো কাপড়ের পতাকা টাঙানো হয়েছে।