জাতীয়

আজ বিকেলে বসছে সংসদের ২০তম অধিবেশন

Published

on

আজ রবিবার বিকেল ৫ টায় শুরু হচ্ছে দশম জাতীয় সংসদের ২০ তম অধিবেশন । জানা গেছে এ অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হতে পারে । রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সংবিধানের ৭২ অনুচ্ছেদের (১) দফায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে গত ২১ মার্চ এ অধিবেশন আহ্বান করেছেন।

সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার জন্য এ সংক্ষিপ্ত অধিবেশন ডাকা হয়েছে। সংবিধান অনুযায়ি এক অধিবেশন শেষ হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে পরবর্তী অধিবেশন বসতে হবে।

সংসদ সচিবালয় থেকে জানানো হয় আসন্ন অধিবেশনের মেয়াদ ৫ থেকে ৭ দিন হতে পারে। তবে আজ বিকাল ৪টায় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠেয় সংসদ কার্য-উপদেষ্টা কমিটির সভায় সংসদের ২০তম অধিবেশনের মেয়াদ ও কার্যক্রম চূড়ান্ত করা হবে। তবে সংক্ষিপ্ত হলেও এ অধিবেশনে বেশ ক’টি বিল পাস ও উত্থাপন হতে পারে। জানা গেছে, এই অধিবেশনেই আসছে সংবিধানের সপ্তদশ সংশোধনী বিল। এ বিলে সংরক্ষিত আসনে নারীদের নির্বাচনের মেয়াদ বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। ফলে আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও থাকছে সংরক্ষিত আসন।

সংবিধান অনুযায়ী, ৩৫০ জন সংসদ সদস্য (এমপি) নিয়ে সংসদ গঠিত হয়। দুই ধরনের নির্বাচনী ব্যবস্থার মাধ্যমে সদস্যরা নির্বাচিত হন। এর মধ্যে একক আঞ্চলিক নির্বাচনী এলাকাসমূহ থেকে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ জন এবং সংসদের আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের পদ্ধতিতে ৫০ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সংবিধানের ৬৫(৩) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, বর্তমানে থাকা ৫০ জন সংরক্ষিত নারী সদস্যের মেয়াদ চলতি সংসদেই শেষ হচ্ছে। ওই অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, ‘সংবিধান (চতুর্দশ সংশোধন) আইন, ২০০৪ প্রবর্তনকালে বিদ্যমান সংসদের অব্যহিত পরবর্তী সংসদের প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে শুরু করিয়া ১০ বত্সর কাল অতিবাহিত হইবার অব্যবহিত পরবর্তীকালে সংসদ ভাঙ্গিয়া না যাওয়া পর্যন্ত (৫০টি আসন) কেবল মহিলা-সদস্যদের জন্য সংরক্ষিত থাকিবে এবং তাঁহারা আইনানুযায়ী পূর্বোক্ত সদস্যদের দ্বারা সংসদে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতির ভিত্তিতে একক হস্তান্তরযোগ্য ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হইবেন। তবে শর্ত থাকে যে, এই দফার কোন কিছুই এই অনুচ্ছেদের (২) দফার অধীন কোন আসনে কোন মহিলার নির্বাচন নিবৃত্ত করিবে না।’

২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদে সংবিধান সংশোধন করে সংরক্ষিত নারী সদস্যের ৪৫টি আসন সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টনের ব্যবস্থা করা হয়। তখন এর মেয়াদকাল নির্ধারণ করা হয়েছিল পরবর্তী সংসদের (নবম সংসদ) প্রথম বৈঠক থেকে ১০ বছর। নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর। আর প্রথম অধিবেশন বসে ২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি। সেই হিসাবে ২০১৯ সালের ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্যের মেয়াদ রয়েছে। ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে নারী সদস্যদের সংখ্যা ৪৫ থেকে ৫০ এ উন্নীত করা হয়। কিন্তু এর মেয়াদ বাড়ানো হয়নি। ফলে এখনই সংশোধনী না আনলে আগামী একাদশ সংসদে এই ঝামেলা এড়াতেই সপ্তদশ সংশোধনী আনা হয়েছে। মন্ত্রিসভায় উত্থাপিত সংবিধান (সপ্তদশ সংশোধন) আইনের খসড়ায় সংরক্ষিত নারী আসনের সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাবও করা হয়েছে।

এদিকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি সংসদের ১৯তম ও ২০১৮ সালের প্রথম অধিবেশন শেষ হয়। গত ৭ জানুয়ারি শুরু হওয়া ওই অধিবেশন ছিল বছরের প্রথম অধিবেশন। সংসদের প্রথা ও সংবিধান অনুযায়ী অধিবেশনের প্রথম কার্যদিবসে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ভাষণ দেন। ভাষণে আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর সরকার ও বিরোধীদলের মোট ২৩৩ জন সংসদ সদস্য ৬৪ ঘন্টা ৯ মিনিট আলোচনা করেন। আলোচনা শেষে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সর্বসম্মতভাবে ধন্যবাদ প্রস্তাব গ্রহণ করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version