জাতীয়

আজ বিশ্ব নদী দিবস

Published

on

আজ বিশ্ব নদী দিবস। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের উদ্যোগে ‘বিশ্ব নদী দিবস ২০১৮’ পালিত হবে।

বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বানী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপ্রধানদের বানীতে বলা হয়, সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও নদীকে চরম হুমকির মোকাবিলা করতে হচ্ছে। বাংলাদেশের নদীগুলো আজ বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন। নদী ও নদীর তীরভূমি, ফোরশোর অবৈধভাবে দখল হয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছু নদী ভরাট, নাব্যতাহীনতা এবং দখল, দূষণের কারণে ইতিমধ্যে মৃত ও বিলুপ্তপ্রায়। জীববৈচিত্র্য, নদীর পানি ও পরিবেশ ক্রমান্বয়ে দূষিত ও নষ্ট হয়ে পড়েছে। পৃথিবীর প্রাচীনতম সভ্যতাগুলো নদীকেন্দ্রিক। আমাদের সভ্যতা, সমাজ, অর্থনীতি, জীবনব্যবস্থা প্রাচীনকাল থেকেই নদীভিত্তিক। নদীকে কেন্দ্র করেই আমাদের বৃদ্ধি ও বিকাশ। নদীই আমাদের জাতির প্রাণশক্তি, ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিদ্যমান সভ্যতার ধারক ও বাহক।

প্রধানমন্ত্রীর বানীতে বলা হয়, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশের মোট আয়তনের এক-তৃতীয়াংশ পানি সম্পদ। নদীমাতৃক বাংলাদেশের কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতি নদ-নদী, খাল-বিল, হাওর-বাঁওড় ও অন্যান্য জলাশয়ের ওপর নির্ভরশীল। দেশের অভ্যন্তরে ৪০৫টি নদ-নদী ও ৫৭টি আন্তঃদেশীয় সংযোগ নদী রয়েছে। কিন্তু জলবায়ুর পরিবর্তনসহ প্রাকৃতিক ও মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে আমাদের নদ-নদী ও জলাশয় ক্রমশ দূষণের কবলে নিপতিত হচ্ছে। নাব্যতাহীনতা এবং নদী-সম্পদের অপব্যবহারের কারণে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নদী বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। এজন্য বর্তমানে আমাদের নদ-নদী ও জলাশয় রক্ষা করা অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে পানির অসীম গুরুত্ব বিবেচনা করে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালে ‘বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড’ নামে একটি স্বতন্ত্র সংস্থা সৃষ্টি করেন এবং নদ-নদী সুরক্ষায় নদী ড্রেজিংয়ের গুরুত্ব বিবেচনা করে ১১টি ড্রেজার ক্রয়ের নির্দেশ দেন। বানীতে বলেন ‘জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন’ গঠন করেন। জাতির পিতা আন্তঃসীমান্ত পানি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে যৌথ নদী কমিশন-জেআরসি’ গঠন করেন। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন সময়োপযোগী ও উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে দেশের সকল নদ-নদী, খাল-বিল, জলাশয় ও জলাধার দখল ও দূষণ থেকে মুক্ত করে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে অবদান রাখবে বলে আমি মনে করি।

দিবসটি পালনের মাধ্যমে নদী রক্ষায় জনসচেতনতা বৃদ্ধি পাবে। নদী-সম্পদ, নদীর অবকাঠামো, পানি ও পরিবেশ সুরক্ষায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য আমি সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version