পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কারাগারে শনিবার বিএনপি চেয়ারপারসনের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান “ম্যাডাম বলেছেন, “আমি অত্যন্ত গুরুতর অসুস্থ, এটা কোর্টকে জানাবেন। জেলে স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে থাকার কারণে দিন দিন আমার স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটছে। মেডিকেল গ্রাউন্ডে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট- এটা সর্বোচ্চ আদালতে উপস্থাপন করবেন। ”
এক ঘণ্টারও বেশি সময় খালেদা জিয়ার সঙ্গে কথা বলেন আইনজীবীরা। তারা হলেন অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, সুপ্রিমকোর্ট বারের সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী ও সুপ্রিমকোর্ট বারের সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমরা ম্যাডামকে দেখতে এসেছিলাম আইনজীবী হিসেবে। যেহেতু আমরা মামলা করি সেই কারণে। ম্যাডাম খুবই অসুস্থ। তার বাম হাত তিনি নাড়াতে পারেন না, তা শক্ত হয়ে গেছে। ঘাড়েও তার সমস্যা আছে।
কিন্তু এখন পর্যন্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী, দেশের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দলের প্রধান, তিনি আজকে জেলখানায় আছেন। কী মামলায় আছেন তা আপনারা জানেন। একটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যমূলক মামলায় তিনি আজকে বিনা চিকিৎসায় জেলখানায় কষ্ট পাচ্ছেন। এটা খুবই দুঃখজনক।’
আইনজীবীরা বিকাল ৪টা ০৫ মিনিটে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে কারাগারে প্রবেশ করেন। ৮ ফেব্র“য়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হয়। এরপর পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারকে বিশেষ কারাগার ঘোষণা দিয়ে খালেদা জিয়াকে সেখানে রাখা হয়।