বাজার থেকে এনার্জি ড্রিংকস বা অন্য কোনো নামে পণ্য উত্পাদন বা আমদানি ও বাজারজাত করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ (বিএফএসএ)।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, কাস্টমস এবং সংশ্লিষ্ট সবাইকে চিঠি দিয়ে এ নির্দেশনার কথা জানাবে বিএফএসএ। এর ফলে বিএসটিআইয়ের কাছ থেকে যারাই কার্বোনেটেড বেভারেজের জন্য লাইসেন্স নেবে তাদের শুধু বিডিএস ১১২৩:২০১৩ কার্বোনেটেড বেভারেজেস মানের মধ্যে থেকে উত্পাদন করতে হবে।
বিএফএসএর সদস্য মাহবুব কবির বলেন, ‘কার্বোনেটেড বেভারেজের নামে লাইসেন্স নিয়ে এত দিন যারা এনার্জি ড্রিংকস বাজারজাত করেছে এখন আর তারা তা পারবে না। বাজারে যাদের এনার্জি ড্রিংকস আছে তাদের চিঠি দিয়ে এগুলো তুলে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হবে। পাশাপাশি যাতে এনার্জি ড্রিংকস আমদানি বন্ধ হয় সে জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও কাস্টমসকেও চিঠি দেওয়া হবে।’
জানা গেছে, বিএফএসএ বিভিন্ন এনার্জি ড্রিংকস পরীক্ষা করে ক্ষতিকর মাত্রায় ক্যাফেইনের উপস্থিতি পেয়েছে। কার্বোনেটেড বেভারেজে ক্যাফেইনের মাত্রা প্রতি কেজিতে ১৪৫ এমজি থাকার কথা থাকলেও পাওয়া গেছে ৩২০ এমজিরও বেশি। অন্যদিকে সম্প্রতি মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর নন-ব্র্যান্ডের কিছু এনার্জি ড্রিংকস পরীক্ষা করে সেগুলোতে ভায়াগ্রার উপাদান পেয়েছে। এগুলো মূলত আমদানি করে আনা হয়।
তথ্য মতে, বিএসটিআইয়ের সফট ড্রিংকস অ্যান্ড বেভারেজ শাখা কমিটি এনার্জি ড্রিংকস শিরোনামে মান প্রণয়ন করা হবে কি না, এ বিষয়ে ভোক্তাসাধারণের মতামত চেয়ে একটি গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তাদের ওয়েবসাইটে ও নোটিশ বোর্ডে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৬টি মতামত পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৪টি মতামত আসে জাতীয় মান প্রণয়ন না করার পক্ষে। পরে এটি জাতীয় মান প্রণয়নের নীতিনির্ধারক ও উচ্চতর কমিটি ‘কৃষি ও খাদ্য বিভাগীয় কমিটি’র সভায় উপস্থাপন করা হয়। বিভাগীয় কমিটি সর্বসম্মতিক্রমে এনার্জি ড্রিংকস পণ্যের জাতীয় মান প্রণয়ন না করার পক্ষে মতামত প্রদান করে।
ওই সভায় যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা হলো, এনার্জি ড্রিংকস জাতীয় মান প্রণয়ন ‘না’ করার নীতিগত সিদ্ধান্ত এবং কার্বোনেটেড বেভারেজ ছাড়া ‘এনার্জি ড্রিংকস’ বা অন্য কোনো নামে পণ্য উত্পাদন বা আমদানি ও বাজারজাত করার সুযোগ নেই।