রংপুর প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাস ঝুঁকি মোকাবেলায় রংপুর পুলিশ লাইন্সে গণসচেতনতা তৈরীর লক্ষে রংপুর জেলা পুলিশের হাসপাতাল পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর আইকন, বাংলাদেশ পুলিশের উজ্জ্বল নক্ষত্র, রংপুর জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার, জনাব বিপ্লব কুমার সরকার, বিপিএম (বার) পিপিএম, পুলিশ সুপার, রংপুর।
এ সময় পুলিশ সুপার, রংপুর মহোদয় বলেন, পুলিশ সদস্যরা আক্রান্ত হতে পারেন। এ জন্য রংপুর পুলিশ হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড প্রস্তুত রাখতে হবে। আক্রান্তদের মাধ্যমে অন্য পুলিশ সদস্যদের মধ্যে তা ছড়িয়ে পড়তে পারে। তাই পুলিশের কোনো সদস্য যেন আক্রান্ত না হন, সে জন্য নিজেদের সতর্ক থাকতে হবে। কোনো পুলিশ সদস্য ছুটি থেকে এসেই কর্মস্থলে যোগ দিতে পারবেন না। তাদের প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করাতে নির্দেশ দেন। পুলিশ হাসপাতাল এর ডাক্তারের কাছে নিতে হবে। সন্দেহ হলেই তাদের কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হবে। কোয়ারেন্টাইনকাল (১৪ দিন) পার হলে সুস্থতাসাপেক্ষে তারা কাজে যোগ দিতে পারবেন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে রংপুর জেলা পুলিশের সদস্যগনকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দেন পুলিশ সুপার, জনাব বিপ্লব কুমার সরকার, বিপিএম (বার) পিপিএম, পুলিশ সুপার, রংপুর।
রবিবার সকালে পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপার রংপুর মহোদয় বলেন, আইজিপি মহোদয় সবার আগে নিজেদের নিরাপত্তা জোরদারের কথা বলেছেন। পাশাপাশি যে কোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বলেছেন। কেউ যাতে অতিরিক্ত খাদ্যদ্রব্য মজুদ করতে না পারে, সে বিষয়টি খেয়াল রাখার পাশাপাশি সাপ্লাই লাইন ঠিক রাখতে পুলিশকে কঠোর ভূমিকা রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বাগ্রে বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি মহোদয়। বাইরে ডিউটি করার সময় প্রত্যেক সদস্য যেন মাস্ক এবং গ্লাভস পরিধান করেন সেটি নিশ্চিত করতে বলেছেন।
পুশিশ সুপার রংপুর মহোদয় আরো বলেন বাইরে ডিউটির সময় পুলিশ সদস্যদের স্যানিটাইজার দিয়ে বারবার হাত ধোয়ার নির্দেশনা দেন। বিশেষ করে ট্রাফিক পুলিশে কর্মরত সদস্যদের মুখে মাস্ক ব্যবহারের পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। প্রতিটি থানার, পুলিশ ব্যারাক, পুলিশ লাইন্স ও মেসের প্রধান গেটে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ডিউটি শেষে থানা কিংবা ব্যারাকে প্রবেশের আগে প্রতিটি পুলিশ সদস্যকে হাত ধোয়ার নির্দেশনা দেন।
এছাড়াও পুলিশ হাসপাতালের প্রবেশমুখে হ্যান্ডহেল স্ক্যানার দিয়ে তাপমাত্রা পরীক্ষা করার জন্য নির্দেশ দেন। স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা পেলে তাৎক্ষণিকভাবে ওই কর্মকর্তা/সদস্যকে আলাদা স্থানে রাখার নির্দেশ দেন পুলিশ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসারকে। পুলিশ হাসপাতালে আলাদা সেল খোলা হয়েছে। কেউ অসুস্থ হলে তাকে দ্রুত চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে পুলিশ হাসপাতাল রংপুর সার্বক্ষণিক প্রস্তুত রয়েছে বলে তিনি জানান।