Highlights

কাউনিয়ায় স্বামীর নির্যাতনে বৌ-শ্বাশুড়ী হাসপাতালে

Published

on


মিজান,কাউনিয়া(রংপুর):
রংপুরের কাউনিয়ায় হারাগাছের সোনাতন সিদ্দিক বাজার গ্রামে যৌতুক লোভি পাষন্ড স্বামী রাব্বী হাসানের নির্যাতনে স্ত্রী রঞ্জনা আক্তার (২০) রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও শাশুড়ী আনজেলা বেগম (৫৫) কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে মৃত্যু যন্ত্রনায় কাতরাচ্ছে।

জানা গেছে, উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নের সোনাতন সিদ্দিক বাজার গ্রামে আঃ ওয়াদুদ এর কন্যা রঞ্জনা আক্তারের সাথে একই গ্রামের আবেদ আলীর পুত্র রাব্বী হাসানের প্রেমের সম্পর্ক থাকায় পরে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। রঞ্জনার বাবা নিজস্ব বাড়ি ভিটার ৯ শতক জমির মধ্যে ৪ শতক জমি বিক্রি করে মেয়ের বিয়ে দেয়। বিয়ের কিছু দিন ভালই কাটে তাদের এরপর একপর্যায় থেকে রাব্বী হাসান যৌতুকের জন্য রঞ্জনার উপর নানা ভাবে নির্যাতন শুরু করেন।

ইতোমধ্যে রঞ্জনার কোল জুঁড়ে একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। মাত্র ২০ হাজার টাকার জন্য স্বামী রাব্বী ও রাব্বীর মা নানা ভাবে রঞ্জনাকে নির্যাতন করতে থাকেন। নির্যাতন সইতে না পেরে রঞ্জনা তার সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে চলে আসেন। প্রায় ১ বছর থেকে সে বাবার বাড়িতে অবস্থান করেন। কিন্তু তাদের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় প্রতিনিয়ত রাব্বী শশুরবাড়িতে গিয়ে টাকা নিয়ে তার বাড়িতে আসতে তাকে চাপ দেয়। তার বাবা একজন অসহায় দিন মজুর সে টাকা দিবে কোথা থেকে সেই কথা ভেবে রঞ্জনা স্বামীর বাড়ি আর ফেরা হয় না।

গত ১৭ এপ্রিল বুধবার রঞ্জনার স্বামী ও তার ভাইয়েরাসহ বাঁশ কাটতে গিয়ে রঞ্জনার মায়ের সাথে রঞ্জনাকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এরই মধ্যে রাব্বী হাসান, সমেদ আলী, সরিফুল ইসলাম, সামসুন্নাহার রঞ্জনার বাড়িতে ঢুকে বাঁশের লাঠি দিয়ে রঞ্জনা ও তার মা আনজেলাকে বেধরক মার ডাং এবং সাথে থাকা বটি দিয়ে মাথায় চোট দিলে আনজেলার মাথার মাঝ খানে কেটে যায়।

পরে তাদের আত্মচিৎকারে আসপাশের লোকজন এসে রক্তাত্ব জখম অবস্থায় তাদের উদ্ধার করে রঞ্চনাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও আনজেলাকে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। আনজেলার মাথায় ৬টি সেলাই পরেছে। বর্তমানে মা-মেয়ে শারিরীক যন্ত্রনায় মেডিকেলের বিছানায় কাতরাচ্ছে। কাউনিয়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তার বাবা বিচার চেয়ে বিভিন্ন জনের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। অসহায়দের পাশে দাঁড়ানোর কোন মানুষ নাই। হারাগাছ ইউপি চেয়ারম্যান রকিবুল হাসান পলাশ জানান, এ ব্যাপারে আমাকে এখনও কেউ কিছু জানায়নি। তবে অন্যায় হয়ে থাকলে তারা আইনের আশ্রয় নিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version