মিজান,কাউনিয়া প্রতিনিধিঃ রংপুরের কাউনিয়া উপজেলা পরিষদে বিগত বছরে অনেক টাকা রাজস্ব ব্যয়ের মধ্যদিয়ে ঘটা করে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচি পালন করা হয়, সেই কর্মসূচিতে উপজেলা পরিষদের বিভিন্ন স্থানে পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বিষয়ে সাইনবোড ও ডাষ্টবিন স্থাপন করে। সাইনবোডে লেখা আছে যত্রতত্র ময়লা ফেলা দন্ডনীয় অপরাধ। সেই সাইনবোড আছে কিন্ত বাস্তবে তার কোন কার্যকারিতা নেই। কাউনিয়া উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঢুকলে মনে হয় বাতির নিচে অন্ধকার।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নোংড়া আবর্জনা আর জঙ্গলে ছেয়ে গেছে সাবেক উপজেলা পরিষদের ভবনসহ উপজেলা ক্যাম্পাস। তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপঙ্কর রায় পরিষদের সামনে জনসাধারনের বসার জন্য বকুল ফুল গাছতলা সুন্দর করে বাধাঁই এবং উচ্চ পদস্ত কর্মকর্তা সালাম গ্রহনের জন্য ও আলোচনার জন্য স্টেজ তৈরী করে দিয়ে ছিলেন। সেখানে বর্তমানে নোংড়া আবর্জনার কারনে আর বসার মতো কোন পরিবেশ নেই। পরিষদের ফুলের বাগানটি এখন জঙ্গলে পরিপূর্ণ। ইউএনও অফিসসহ বেশ কয়েকটি অফিস নতুন ভবনে চলে যাওয়ায় পুরাতন ভবনটিতে বর্তমানে কৃষি অফিস, সমবায় অফিস, ট্রেজারী অফিস ও নির্বাচন অফিস রয়েছে। ভবনটির রং নষ্ট হয়ে দেয়ালে বট গাছ জন্মেছে। সম্পূর্ণ এলাকা জুড়ে নোংড়া আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পরিষদে সুইপার আছে কিন্তু ঝাড়ু দেয় কিনা সে বিষয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ৪০ দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির শ্রমিক অনেক সময় বসে বসে ছিল কিন্তু সে সময় তা পরিস্কার করতে পারতো তা করা হয়নি। পরিস্কার পরিছন্নতা বিষয়ে পরিষদের বিভিন্ন স্থানে সাইনবোড লাগানো আছে কিন্তু বাস্তবে তার কোন প্রয়োগ দৃর্শ্যমান নয়। তাই অনেকে মন্তব্য করে বলেন, আইন আছে আইনের প্রয়োগ নাই এযেন বাতির নিচে অন্ধকার!
এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম নাজিয়া সুলতানা জানান, উপজেলা পারিষদে পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই, তাই কাজ গুলো করতে বিলম্ব হচ্ছে তবে দ্রুত পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হবে।