শাহ্ আলম, কুড়িগ্রাম: দরিদ্রতম জেলা কুড়িগ্রামের জন্য বাজেটে বিশেষ বরাদ্দের দাবীতে কুড়িগ্রামে রেল-নৌ, যোগাযোগ ও পরিবেশ উন্নয়ন গণকমিটির সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা কমিটির সভাপতি লাইলী বেগমের সভাপতিত্বে বুধবার সকাল ১১টায় কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সৈয়দ শামসুল হক মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রতিপাদ্য পাঠ করেন নির্বাহী কমিটির অর্থ সম্পাদক মোয়াচ্ছেল হোসেন শিমুল। এসময় বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা কমিটির সভাপতি চাষি নুরনবী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আব্দুস শহীদ চৌধুরী, সাধারন সম্পাদক, অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার রায়, সাংগঠনিক সম্পাদক জামিউল রহমান বিদ্যুত, আবদুর রশিদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সুব্রতা রায় প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, কুড়িগ্রাম দেশের সবচেয়ে দরিদ্রতম জেলা হলেও এই জেলার জন্য বাজেটে কোন বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয় না। তাই দেশের উন্নয়নের সাথে তাল মিলিয়ে এই জেলা এগিয়ে যেতে পারছে না, বরং পিছিয়ে পড়ছে। তাই কুড়িগ্রামকে বিশেষ অঞ্চল বিবেচনা করে জেলার উন্নয়নে এবারের বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখার দাবী করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে পিছিয়ে পড়া কুড়িগ্রামের উন্নয়নে ১৩টি দাবি তুলে ধরা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে, বালাসিঘাট ট্যানেলের সাথে কুড়িগ্রাম ও লালমনিরহাট জেলাকে সম্পৃক্ত করা, চিলমারী-সুন্দরগঞ্জ তিস্তা সেতুতে রেলপথ যুক্ত করা, চিলমারী-ঢাকা রুটে আন্তনগর ট্রেন ভাওয়াইয়া এক্সপ্রেস চালু করা, একাধিক অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু করা,নবায়ণযোগ্য ৫শ’ মেট্রিক ক্ষমতা সম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা, সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হকের নামে বিশ^বিদ্যালয় চালু করা, মাছ, পাখি, প্রাণ ও জমি রক্ষায় স্থানীয় ও জাতীয় বালু দস্যুদের হটাও এবং ব্রহ্মপূত্রের খনিজ ভিত্তিক শিল্পায়ন, রৌমারীকে মুক্তাঞ্চল হিসেবে গেজেট প্রকাশ, ভাঙন থেকে রক্ষা ও গ্যাস পাইপ-রেললাইন সম্প্রসারণ, কুড়িগ্রাম থেকে সোনাহাট স্থলবন্দর পর্যন্ত রেল সংযোগ, চিলমারী টু রৌমারী ও রাজিবপুর ফেরী সংযোগ চালু, লালমনিরহাট বিমানবন্দর পূণরায় চালুকরা, মধ্যস্বত্বভোগীদের হাত থেকে গরীব কৃষকদের রক্ষা করা এবং কুড়িগ্রাম জেলার জন্য বিশেস বাজেট চালু করা।