কোটা সংস্কার আন্দোলনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নতুন করে কর্মসূচি দিয়েছে। সারাদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন এবং প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে ৭ টা পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধের ঘোষণা দেয়া হয়েছে। তবে, চলমান এইচএসসি পরীক্ষা এ কর্মসূচির আওতামুক্ত থাকবে।
চার ইস্যুতে নতুন এ কর্মসূচির পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এগুলো হলো, এক. কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরি ক্ষমা না চাওয়া, দুই. বাজেটের পর কোটা সংস্কারে হাত দেয়া হবে- অর্থমন্ত্রীর এমন বক্তব্য, তিন. আটককৃতদের এখনও ছেড়ে না দেয়া, চার. অসুস্থদের চিকিৎসার দায়িত্ব না নেয়া। আজ বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়ক রাশেদ খান সাংবাদিকদের এ কর্মসূচির কথা জানান।
এর আগে সোমবার (৯ এপ্রিল) আন্দোলনকারীদের একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় সভায় আগামী মে মাস পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করার কথা ঘোষণা করা হলেও এ সিদ্ধান্ত মানতে চাননি না সাধারণ আন্দোলনকারীরা। তারা স্থগিতের সিদ্ধান্ত না মেনে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।
সোমবার (৯ এপ্রিল) রাতে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাদের বাইরে সাধারণ আন্দোলনকারীদের মধ্য থেকে বিপাশা চৌধুরী নামে এক শিক্ষার্থী নতুন কর্মসূচি ঘোষণা দিয়ে ওইদিনের মতো আন্দোলন স্থগিত করেন। এবং মঙ্গলবার সকাল ১১ টায় ফের অবস্থান, প্রাইভেট ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন অব্যাহতের ঘোষণাও দেন।
তিনি বলেন, ‘আগামী ১৫ এপ্রিলের মধ্যে শিক্ষার্থীদের দাবি মেনে নিতে হবে। অন্যথায় ১৬ এপ্রিল ‘ঢাকা চলো’ কর্মসূচি পালন করা হবে।’
রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে তিনি বলেন, ‘আমাদের আন্দোলনের যে কমিটি ছিল। তারা আমাদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই আন্দোলন স্থগিত করেছেন। আমরা এই সিদ্ধান্ত মানি না। আন্দোলন চলবে। আমি অনুরোধ করবো পাবলিক এবং প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ করতে।’
‘নিরাপত্তাহীনতায়‘ টিএসসি ছাড়ার কথা জানিয়ে বিপাশা বলেন, ‘আমরা নিজেদের এখানে নিরাপদ বোধ করছি না। কর্মসূচি আজকের মতো শেষ। আজকে কর্মসূচি স্থগিত। কাল সকাল ১১টায় ফের রাজু ভাস্কর্য থেকে শুরু হবে লাগাতার ধর্মঘট ও ক্লাস বর্জন কর্মসূচি।