ওয়েব সার্চের ফলাফল থেকে অতীতে নিজের অপরাধের তথ্য মুছে ফেলতে গুগলের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিলেন দুই ব্রিটিশ ব্যবসায়ী। নাম গোপন রেখে দায়ের করা মামলায় বলা হয়, গুগলকে এর আগে এ দুই ব্যবসায়ীর অনেক বছর আগে করা অপরাধের তথ্য সার্চ ইঞ্জিন থেকে মুছে ফেলতে আবেদন করা হয়। সে আবেদন নাকচ করলে যুক্তরাজ্যের আদালতে এ মামলা করেন ব্যবসায়ী যুগল। ‘অপরাধমূলক সে তথ্যগুলো সেকেলে হয়ে গেছে এবং তা নিয়ে মানুষের আর কোনো আগ্রহ নেই’-এমন যুক্তি দেখিয়ে মামলা দায়ের করা হয়। আর আদালতে শুনানিতে হেরে গিয়ে সে তথ্য মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে গুগলকে।
শুক্রবার আদালতে বিচারপতি মার্ক ওয়ারবি মামলার রায় জানিয়ে বলেন, ‘দুই ব্যবসায়ীর পূর্বের কৃতকর্মের তথ্য অনেক পুরোনো, যার ওপর গুগল ব্যবহারকারীদের কোনো আগ্রহ নেই। তাই গুগল সার্চে তাঁদের তথ্য থাকা অপ্রাসঙ্গিক।’ তথ্যগুলো মুছে ফেলার নির্দেশ দিলেও এ জন্য গুগলকে কোনো আর্থিক জরিমানা করেননি আদালত।
মামলার রায়ের পর গুগল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘আদালতের সিদ্ধান্তের প্রতি তারা শ্রদ্ধাশীল। মুছে ফেলা যায় এমন তথ্য আলাদা করতে আমরা কঠোর শ্রম দিচ্ছি। তবে ব্যবহারকারীদের তথ্যের ওপর যে অধিকার রয়েছে তা নিশ্চিত করতে ব্যবহারকারীদের আগ্রহ রয়েছে, এমন তথ্য যেন মুছে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।’
২০১৪ সালে ইউরোপীয় বিচার বিভাগ অনাবশ্যক তথ্য গুগলের মতো সার্চ ইঞ্জিনগুলোকে অনুরোধের ভিত্তিতে মুছে ফেলার আইন জারি করে। এ আইন পাস হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত গুগলের কাছে প্রায় ২০ লাখ ওয়েব ঠিকানা মুছে ফেলার অনুরোধ আসে, যার মধ্যে ৮ শতাংশ অপরাধ-সম্পর্কিত।