Highlights

গ্যাসের অভাবে গাজীপুরের কামারজুরীতে সীমাহীন দূর্ভোগ

Published

on


জায়েদুল হক ডালিম, গাজীপুর সদর প্রতিনিধিঃ-        গাজীপুরের কামারজুরীতে গ্যাস সংকট তীব্রতর হয়েছে। দিনের বেশির ভাগ সময়ই এলাকায় গ্যাস না থাকায় চরম দূর্ভোগের শিকার হচ্ছেন গ্রাহকরা। কামারজুরী এলাকার  বহু পরিবারে চুলা জ্বলছে না। ফলে অনেকেই মাটির চুলা, কেরোসিনের চুলা ও সিলিন্ডার গ্যাসে রান্না করতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এ তীব্র গ্যাস সংকটের কারণে গ্রাহকদের ভোগান্তি চরমে উঠেছে।
এলাকার গৃহীনি রোমানা হক বলেন ‘সকাল ৬টায় গ্যাস যায়। আসে রাত ১২টায়। গ্যাস এলেও চুলা পিট পিট করে জ্বলে। এভাবে রান্না করা যায় না। পুরো সময়টা এমন যাচ্ছে। এমনও দিন গেছে দিনে ২ ঘণ্টাও গ্যাস থাকে না। ফ্রিজের খাবার ঠান্ডা অবস্থায়ই খেতে হচ্ছে। সকালের নাস্তা বাইরে থেকে কিনে আনতে হচ্ছে। গ্যাসের সঙ্গে যুদ্ধ করে রান্না করতে হচ্ছে বলা যায়।’ গ্যাসের অভাবে প্রতিদিনের রান্না নিয়ে এমন ভোগান্তি এলাকার  হাজার হাজার পরিবারের।
জানা যায়, কামারজুরী, বাদেকলমেশ্বর, শরিপপুর, কলমেশ্বরের বাসাবাড়িতে দিনের বেলায় গ্যাস নেই বললেই চলে। মাঝে মধ্যে গ্যাসের চাপ কিছুটা স্বাভাবিক হলেও দিনের বেশির ভাগ সময়ই চাহিদামতো গ্যাস পাওয়া যায় না। আর যেটুকু চাপ থাকে তাতে রান্নাবান্নার কাজ করা যায় না।
কামারজুরী এলাকার গৃহকর্ত্রী নার্গিস করিম জানান, প্রতিদিন সকাল থেকেই গ্যাস চলে যায়। প্রায় দিনের বেলায়  গ্যাসে কোনো রান্নাবান্নার কাজ করা যায় না। অনেক সময় সকালের নাশতাও বাইরে গিয়ে খেতে হয়। দুপুরের খাওয়া হোটেল থেকে আনতে হয়। রাতের বেলা খাবার রান্না করে রাখলেও দিনে তা গরম করে খাওয়া যায়না। গ্যাস-সংকটের কারণে সকালে স্কুলপড়ু–য়া ছেলেমেয়েদের জন্য নাশতা তৈরি করা যায় না। গ্যাস সংকটের কারণে তিনি একটি কেরোসিন তেলের চুলা কিনেছেন। 
জেলার অন্যান্য উপজেলায়ও একই চিত্র। গ্যাস সংকটে সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার বয়স্ক ও শিশুরা। এছাড়া গ্যাস নির্ভর শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোর উৎপাদন ও ব্যহত হচ্ছে। কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গ্যাসের চাপ না থাকায় লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের।
জানা গেছে, গ্যাস ব্যবহার করতে না পারলেও গ্যাসের বিল দিতে হচ্ছে গ্রাহকদের। এতে চরম কষ্টে দিন পার করে যাচ্ছে এলাকার বাসিন্দারা।             
 বিষয়টি সংশ্লিষ্ট গাজীপুর  কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। সমস্যা সমাধানের জন্য তারা আন্তরিকাবে চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version