Highlights

চলমান লকডাউন বাড়ল আরও ৫ দিন

Published

on

দেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলমান কঠোর লকডাউনের মেয়াদ আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়ছে লকডাউন। আজ মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা শেষে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে বেলা ১১টায় সচিবালয়ে এ সভা শুরু হয়। সভায় ১২ মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, ১৬ জন সচিব, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, পুলিশ মহাপরিদর্শক, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আইইডিসিআর পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী বলেন, আগামী ১ সপ্তাহে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। ওয়ার্ড-ইউনিয়নে ৫ থেকে ৭টা কেন্দ্র করে ১ কোটি মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। মানুষকে ভ্যাকসিন নিতে দৌড়াতে হবে না, আমাদের লোকজনই তাদের কাছে পৌঁছে যাবে।

মন্ত্রী বলেন, ১৪ হাজার কেন্দ্রে একযোগে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেখানে আমরা বয়স্কদের অগ্রাধিকার দেব। কারণ বৃদ্ধদের মৃতুঝুঁকি বেশি বলে মনে হয়েছে। একইসঙ্গে শ্রমিক, বাসের হেলপারসহ সবাইকে ভ্যাকসিন নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।

মোজাম্মেল হক বলেন, ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ কর্মস্থলে আসতে পারবেন না। ভ্যাকসিনের সার্টিফিকেট থাকতে হবে। ভ্যাকসিন দিলেই ওয়েবসাইটে চলে যাবে। সেগুলো চেক করা হবে। ভ্যাকসিন দেওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে ওয়েবসাইটে দিয়ে দেব। ভ্যাকসিন নিয়েছে কিনা যাচাই করতে পারব। আর এ ভ্যাকসিন দেওয়ার জন্য আগামী ৭, ৮, ৯ আগস্ট এ তিন দিন সুযোগ রাখলাম। যাতে তারা ভ্যাকসিন নিয়ে ব্যবসা কেন্দ্র খুলতে পারে।

লকডাউন বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, কঠোর লকডাউনের মেয়াদ আমরা আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত বাড়াচ্ছি। কারণ ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য আমরা এ ১০ তারিখ পর্যন্ত সুযোগ দিচ্ছি। আর ১১ তারিখ থেকে যাতে সব কিছু খুলতে পারে আমরা সেই সুযোগ রেখেছি।

তিনি বলেন, ১১ আগস্টের পর ভ্যাকসিন ছাড়া কেউ চলাফেরা করলে শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। সবাইকে অবশ্যই ভ্যাকসিন নিতে হবে। ১১ আগস্ট থেকে দোকানপাট খুলে দেওয়া হবে। ওইদিন থেকে সড়কে সীমিত পরিসরে গণপরিবহন চলাচল করবে। খুলবে সরকারি-বেসরকারি অফিসও।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ থেকে ৭ জুলাই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। পরে তা ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়। ঈদুল আজহার কারণে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়। পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধ’ জারি করে সরকার। সে মেয়াদ আরেক দফা বাড়িয়ে ১০ আগস্ট পর্যন্ত ‘কঠোরতম বিধিনিষেধের’ মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version