দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর অফিস চালুর দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবারও (২ জুন) সড়কে অফিসগামী মানুষের ভিড় দেখা যায়নি। লোকসমাগম এড়িয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে মানুষকে। বিশেষ করে অধিকাংশ অফিসগামী চাকরিজীবীকে রিকশা কিংবা হেঁটেই গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। এসময় লেগুনাসহ ছোটখাট পরিবহনগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। সকালে নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র পাওয়া যায়।
সকাল সাড়ে ৮টায় খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় দেখা গেছে, চাকরিজীবীদের অধিকাংশই হেঁটে অফিসের উদ্দেশে যাত্রা করেছেন। আবার কেউ কেউ রিকশা ও লেগুনাতে উঠে বসেছেন। তবে লেগুনাগুলোতে কোনও স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি। প্রতিটি লেগুনাতেই গাদাগাদি করে বসতে দেখা গেছে। এসব পরিবহনে হ্যান্ড সানিটাইজার বা জীবাণুনাশক ছিটানোরও ব্যবস্থা নেই।
একই চিত্র বাসাবো এলাকায়। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ও সিএনজিযোগে অফিসগামী মানুষকে এসে নামতে দেখা গেছে। তবে এখান থেকে যেসব বাস ছেড়ে গেছে, সেগুলোতে পাশাপাশি দুটি সিটের একটি করে ফাঁকা রাখতে দেখা গেছে। বাসগুলোতে যাত্রী উঠানোর সময় হ্যান্ড স্যানিটাইজার ও শরীরের তাপমাত্রা মাপতে দেখা যায়নি। তাছাড়া অধিকাংশ এলাকায় যাত্রীদের ধরে বাসে উঠাতেও দেখা গেছে।
জানতে চাইলে মিডওয়ে পরিবহনের হেল্পার রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র ও হ্যান্ড সানিটাইজার আমাদের দেওয়া হয়নি। যাত্রী যখন গাড়িতে ওঠেন, তখন আমি দরজা থেকে নেমে সরে দাঁড়াই। আমরা নির্ধারিত আসনের বাইরে কোনও যাত্রী বাসে তুলছি না। আসলে যাত্রীরাও এখন অনেক সচেতন।’
সকালে দৈনিক বাংলা এলাকায় দেখা গেছে খিলগাঁও, বাসাবো ও কমলাপুর এলাকা থেকে এই এলাকা হয়ে বেশ কিছু লেগুনা গুলিস্তানের দিকে যাচ্ছে। এসময় প্রায় প্রতিটি লেগুনাতেই গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেছে। কোনও কোনও লেগুনা পেছনে ঝুলিয়েও যাত্রী পরিবহন করেছে।
সচিবালয়ের সামনে কথা হয় বেশ কয়েকজন চাকরিজীবীর সঙ্গে। তাদের একজন আবু সালেহ। তিনি জানান, তার বাসা আজিমপুর এলাকায়। সেখান থেকে তিনি আগে লেগুনা করে আসতেন। কিন্তু এখন করোনাভাইরাসের কারণে পরিবহন এড়িয়ে হেঁটেই অফিসে আসছেন।
আরজুমান আরা নামে অপর একজন বলেন, তিনি শাহজাহানপুরে থাকেন। সেখান থেকে আগে রিকশা বা লেগুনা করে আসতেন। আজ হেঁটে অফিসে এসেছেন। রাস্তাঘাতে তেমন জটলা না থাকায় খুব বেশি একটা সময় লাগেনি।
এদিকে সকাল থেকে নগরীর জিরোপয়েন্ট, দৈনিক বাংলা, শাহবাগ, বাংলামটর, কাওরানবাজার ও ফার্মগেটসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে অফিসগামী মানুষের ভিড় দেখা যায়নি। অধিকাংশ মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অফিসে যেতে দেখা গেছে। আর যারা বাধ্য হয়েই গণপরিবহনে উঠেছেন, তারাও সাবধানতার সঙ্গে চলাচল করেছেন।