বিডিপত্র ডেস্ক: জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সরকার জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করছে। জঙ্গীবাদ ঠেকাতে বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) গুলোকে কাজে লাগাতে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আর এনজিওসমূহ যাতে কোন প্রকার জঙ্গীবাদে সম্পৃক্ত হতে ন পারে সেজন্য এনজিও বিষয়ক ব্যুরো বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়ে থাকে।
স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে এ তথ্য জানান সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী।
মন্ত্রী জানান, এনজিওসমূহ থেকে নিবন্ধনের আবেদন প্রাপ্তির শুরু হতেই উক্ত সংস্থার দাখিলকৃত কাগজপত্র যাচাইয়ের জন্য সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনাপত্তি গ্রহণ করা হয়। আবেদনকারী এনজিও এবং উক্ত এনজিওকে অর্থায়নকারী দাতা সংস্থা কোনো ধরনের জঙ্গী অর্থায়ন এবং মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত কি না তা যাচাইয়ের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত গ্রহণ করা হয়।
মতিয়া চৌধুরী জানান, প্রকল্প প্রস্তাবে জঙ্গী অর্থায়ন এবং মানি লন্ডারিং কাজে তালিকাভূক্ত প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির কাছ থেকে কোন অর্থ গ্রহণ করা হয়নি মর্মে এনজিওসমূহকে ঘোষণা প্রদান করতে হয়। এ সংসদে ২০১৬ সালের ১৩ অক্টোবরে বৈদেশিক অনুদান (স্বেচ্ছাসেবকমূলক কার্যক্রম) রেগুলেশন আইন, ২০১৬ পাস করা হয়েছে। উক্ত আইনের ১৪ ধারায় জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে সুনির্দিষ্ট ধারা রয়েছে।
তিনি জানান, ওই ধারায় বলা হয়েছে- ’কোন এনজিও বা ব্যক্তি এই আইন বা এর অধীন প্রণীত কোন বিধি বা আদেশের বিধান লঙ্ঘন করলে এই আইনের অধীন এবং সংবিধান এবং সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে বিদ্বেষমূলক ও অশালীন কোন মন্তব্য করলে বা জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডে অর্থায়ন, পৃষ্ঠপোষকতা কিংবা সহায়তা করলে অথবা নারী ও শিশু পাচার বা মাদক ও অস্ত্র পাচারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকলে তা দেশে প্রচলিত আইনের অধীন অপরাধ বলে গণ্য হবে।’
মন্ত্রী জানান, এছাড়াও মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ ও সন্ত্রাস বিরোধী আইন ২০০৯ প্রণয়মের মাধ্যমে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে এনজিওগুলোকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। দেশী-বিদেশী মিলিয়ে ২ হাজার ৬১৩টি এনজিও নিবন্ধিত আছে। এদের ৩শ’ এনজিও সক্রিয় কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এদের কর্মকান্ডের মধ্যে সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন বিষয় যেমন- বাল্য বিবাহ রোধ, নারী শিক্ষা, নারী নির্যাতন রোধ, মাদকের কুফল ইত্যাদি বিষয়ের পাশাপাশি জঙ্গীবাদ বিরোধী প্রচারণার কার্যক্রমও অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনুর প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী জানান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত কোন বিভাগ নেই। তবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধিনস্থ ১০টি দফতর/অধিদফতর/সংস্থা আছে।