জাপানে প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যা এবং ভূমিধ্বসে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১২৬ জনে দাঁড়িয়েছে। এদের মধ্যে ১৩ জন মারা গেছে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে।
গতকাল থেকে উদ্ধার অভিযান জোরদার করা হয়েছে। তবে বৃষ্টিপাতের সতর্কতা প্রত্যাহার করা হয়েছে। ২০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
জাপানের কর্মকর্তারা জানান, হিরোশিমা, সাগা, ফুকুওকা, ইয়ামাগুচি, ওকায়েমা, হিয়োগো, কিয়োতো, এহিম, কোচি, শিগা এবং গিফু এলাকায় প্রচুর বৃষ্টিপাতে বন্যা দেখা দেয়। কোনো এলাকায় ভূমিধ্বসের সৃষ্টি হয়। বন্যায় ও ভূমিধ্বসে এখনো অনেক নিখোঁজ রয়েছে বলে জরুরি বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শিনজো অ্যাবে তার বিদেশ সফর বাতিল করেছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৯৮৩ সালের পর এত বড় বন্যা আর দেখা যায়নি। তবে অর্থনীতির ওপর কতটুকু প্রভাব ফেলবে এ বিষয়ে কর্মকর্তারা কিছু জানাতে পারেননি। কয়েক হাজার ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে এবং ১৭ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় আছে। ২০ লাখের বেশি মানুষ ঘর-বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। অনেককে বাড়ির ছাদে আশ্রয় নিতে দেখা যায়।
হিরোশিমার মিহারা শহরের বাসিন্দা ইউমেকো মাতসুই বলেন, আমাদের টয়লেট নষ্ট হয়ে গেছে। খাবার ফুরিয়ে যাচ্ছে। গত শনিবার থেকে খাবার পানি পাওয়া যাচ্ছে না। এনএইচকে টেলিভিশন জানায়, ১১৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। নিখোঁজ আছে ৬১ জন। এছাড়া বিভিন্ন ধ্বংসস্তূপে জীবিতদের উদ্ধারে ব্যাপক তৎপরতা চালানো হচ্ছে।-বিবিসি।