Highlights

জিএসকে’র মোড়কে নকল ইনো তৈরির কারখানার সন্ধান!

Published

on

গাজীপুর সংবাদদাতা:
প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারিয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশ ব্যবসা বন্ধ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক বহুজাতিক কোম্পানি গ্ল্যাক্সোস্মিথক্লাইন (জিএসকে) বাংলাদেশ লিমিটেড। ব্যবসা বন্ধ করলেও বন্ধ হয়নি জিএসকে’র লোগো ব্যবহার করে নকল পণ্য উৎপাদন। জিএসকের মোড়ক ব্যবহার করে এখনো বাংলাদেশে উৎপাদন ও বিক্রি হচ্ছে নকল ইনো। সম্প্রতি এমনই এক কারখানার সন্ধান পাওয়া গেছে ময়মনসিংহের ত্রিশালে।

সাধারণত গ্যাস্ট্রিক জাতীয় সমস্যা দেখা দিলে ইনো পাউডার পানিতে মিশিয়ে পান করলে এসিডিটি সমস্যা দূর করে। এছাড়াও পেট খারাপ, বদহজম, অম্বল, সাধারণ ঠান্ডা, কর্কটরাশি, রক্তে অম্লতা, ডায়াবেটিস, কিডনি এবং অন্যান্য অবস্থার চিকিৎসার জন্যও এই পাউডার পানিতে মিশিয়ে পান করা হয়।

অনুসন্ধানে ময়মনসিংহের ত্রিশাল থানার আমড়াবাড়ি ইউনিয়নের নারায়ণপুর গ্রামে ইমো তৈরির কারখানার সন্ধান পাওয়া যায়। ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের মিনিস্টার কোম্পানি হতে ১০০ গজ উত্তরে রাস্তার পূর্ব পাশে হুমায়ুন নামে এক ব্যক্তির বাড়ির কারখানায় তৈরি হচ্ছে এই নকল ইনো।

তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, ওই গ্রামের মো. হুমায়ুন ও মো. শওকত হোসেন বেশ কিছুদিন ধরেই একটি টিনসেড ঘরে দুটি মেশিন বসিয়ে এ পণ্য উৎপাদন ও দেশের বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে আসছেন। প্রতিষ্ঠানটির না আছে কোন কেমিস্ট, ল্যাব কিংবা সরকারি অনুমোদন। পণ্যটির মানের যাচাই-বাছাই ছাড়াই বিক্রি হচ্ছে দেশজুড়ে। এতে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পরতে পারেন সেবনকারীরা।

সরেজমিনে নকল এ কারখানার মালিকদের সাথে কথা বলতে গেলে সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে যান। সেখানে থাকা এক কর্মচারী জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে এ কারখানা চালু আছে। এটি অবৈধ উপায়ে পণ্য উৎপাদন করছে তা তিনি জানতেন না বলে জানান।

এ ব্যাপারে ত্রিশাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, কোন পণ্য নকল করে বাজারজাত করা সম্পূর্ণ বেআইনি। ইন্ডিয়ান কোম্পানির মোড়ক নকল করে ইনো তৈরির বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখবো। কারখানাটির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version