Highlights

জয়পুরহাটে ঘুর্ণিঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড ঘরবাড়ি ও ফসলি জমি, আহত অর্ধশত

Published

on


আবু রায়হান, জয়পুরহাটঃ
ঘুর্ণি ঝড়ের তান্ডবে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগুয়ান, নওদা, দানেজপুরসহ প্রায় ১০ টি গ্রামে ৪ শতাধিক বসত বাড়ীসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অসংখ্য দোকানপাট ও গাছপালা ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়েছে। এ ঘটনায় প্রায় ৫০ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার বেলা আড়াইটার দিকে এ ঘুর্ণিঝড়টি আঘাত হানে। ঝড়ে গাছ ভেঙ্গে রাস্তার উপর পড়ে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হলে স্থানীয় লোকের সহায়তায় ফায়ার সাভিসের কর্মীরা তা দ্রæত সরিয়ে ফেললে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আহতদের উদ্ধার করে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জয়পুরহাট আধুনিক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েক জনের অবস্থার অবনতি হলে বগুড়া শহিদ জিয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এছাড়াও বসত বাড়ি ও দোকানপাটসহ বিভিন্ন এলাকায় ভটভটি-নছিমন করিমন, সিএনজি, অটোরিক্সা, মিনি পিকআপ, মোটরসাইকেল ঝড়ে উল্টে ভেঙ্গে চুর্ণ বিচুর্ণ হয়ে গেছে। তবে জেলার অন্য উপজেলায় ঝুর্ণিঝড় না হলেও ভারি বৃষ্টিপাতের সাথে শিলাবৃষ্টি হওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ বজলার রহমান জানান, কমপক্ষে ২ বসত বাড়ি ও দোকানপাট ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
পাঁচবিবি উপজেলার নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মনিরুল শহিদ মুন্না বলেন, ঘুর্ণিঝড়ের আঘাতে এ উপজেলায় প্রায় ৪শ বাড়ি চুর্ণ-বিচুর্ণ হয়ে গেছে। এ মুহুর্তে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বলা যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাপারে সহায়তার আলোচনা চলছে।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিবুল আলম জানান, ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনসহ ক্ষতিগ্রস্তদের ব্যাপারে মিটিং চলছে। মিটিং এর পরে কি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে তা জানানো হবে।
অপরদিকে জেলার আক্কেলপুর উপজেলায় শিলা বৃষ্টিতে গম, ধান, আম, লিচুসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১ ঘণ্টা ধরে বরফে পড়তে থাকে এতে করে উপজেলার শত শত হেক্টর ফসলের জমির ধান নষ্ট হয়ে গেছে। এতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে কৃষকরা।
আজ দুপুর ২.৩০ মিনিটের দিকে হঠাৎ করে বজ্রসহ শিলা বৃষ্টি শুরু হয়।
প্রায় ১ঘন্টা এই শিলা বৃষ্টিতে জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর উপজেলার ফসলের মাঠে ধান, গম, পিয়াজ, সবজিসহ উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ব্যাপক হারে শিলা বৃষ্টি হওয়ায় ফসলের জমি ফসলের ফুল গুলো নষ্ট হয়ে গেছে। শিলা বৃষ্টিতে কয়েক হাজার হেক্টর জমির ফসল বিনষ্ট হয়েছে বলে দাবি করেছে কৃষকরা। তবে ক্ষতি নিরুপণে মাঠে নেমেছে স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বলে জানিয়েছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারন বিভাগের উপ-পরিচালক।
সদর উপজেলার শান্তা গ্রামের কৃষক মাহফুজুর বিলাপ করে বলেন, শিলা বৃষ্টিতে তার পাঁচ বিঘা জমির ধানের ক্ষতি হয়েছে। এতে তার ১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
কেশবপুর গ্রামের কৃষক হাসান জানান, তার ভুট্টা ও পিয়াজের জমির ফসলের অনেক ক্ষতি হয়ে গেছে এই শিলা বৃষ্টির কারণে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version