Highlights

টিকার দুই ডোজের ব্যবধান কমানোর নির্দেশনা প্রধানমন্ত্রীর

Published

on

বিডিপি ডেস্ক:
করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকার দুই ডোজের মধ্যে সময়ের ব্যবধান কমানো যায় কি-না, তা দেখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন।

বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ কথা জানান। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ইন্ডাস্ট্রিতে (কারখানা) যে শ্রমিকরা কাজ করেন তাদের বিষয়ে বিশেষভাবে আলোচনা হয়েছে। শুরু থেকেই আমরা ইন্ডাস্ট্রি, প্রোডাকশন, পণ্যের সরবরাহ এগুলো কখনই বন্ধ করিনি। এই কয়েকটি (ঈদের পর বিধিনিষেধ) দিন ছাড়া। সেজন্য এটা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, আপনারা জানেন আমাদের মন্ত্রণালয় একটা চুক্তির মতো করেও ফেলেছে, ছয় কোটি ভ্যাকসিন পাবে সিনোফার্ম থেকে। টিকা পাওয়া গেলেই দ্রুত কীভাবে শ্রমিকদের আলাদা প্রোগ্রামের আওতায় এনে দেয়া যায় সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রীও এটা কনফার্ম করেছেন, উনি এটা দেখবেন। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন শুধু শ্রমিকরা নয়, তাদের পরিবারসহ টিকা দিতে হবে।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, শুধু তাই নয়, আমরা যে এক মাসের ব্যবধানে দুটি ডোজ দিচ্ছি, অনেক দেশে দেখা যাচ্ছে আরও কম সময়ে দ্বিতীয় ডোজ দিচ্ছে, সে বিষয়টিও বিবেচনার জন্য প্রধানমন্ত্রী বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন। টেকনিক্যালি এটা করা যায় কিনা…এটা টেকনিক্যাল বিষয়, আপনি-আমি তো জোর করে কিছু বলতে পারবো না। অনেক দেশে গ্যাপটা (ব্যবধান) কমিয়ে নিয়ে এসেছে। সেক্ষেত্রে একটা মানুষের সেফটিটা বেশি হয়ে যাবে। টেকনিক্যাল সাইড দেখে কম সময়ের গ্যাপে দ্বিতীয় ডোজ দেয়া যায় কি-না তা দেখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী- বলেন তিনি।

এর আগে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের বলেন, যারা প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের এখন দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দ্বিতীয় ডোজের সময়টা একটু কমিয়ে দেয়া যায় কিনা। মন্ত্রী বলেন, এখন আমরা এক মাসে দিচ্ছি। এক মাসের পরিবর্তে আমরা ১৫ বা ২০ দিন করে দিতে পারি কিনা, এ বিষয়টি আমাদের দেখতে বলেছেন। যদি সম্ভব হয়, আমরা সেটা করবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version