আব্দুল আউয়াল ঠাকুরগাঁও:
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ৭ নং চিলারং ইউনিয়নের নদীপাহাড় গ্রামে একই পরিবারের ৫ জন কে করোনা ভাইরাস সন্দেহ করা হয়। সেই সন্দেহ ভাজন পরিবারের ৫ জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায় প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রে জানা যায় তাদের রক্ত, পরীক্ষার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। রক্ত পরীক্ষার পর বোঝা যাবে তারা আসলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত কিনা।
বর্তমানে ওই গ্রামের সবার সুস্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার কথা ভেবে গ্রামটির সবাইকে ঘরে থাকার কথা বলা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। কিন্তু ওই গ্রামটির এমন পরিস্থিতিতির পর গ্রামের গরীব অসহায় মানুষদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। জানা যায় এ খাদ্য সংকটের কারনে গ্রাম থেকে পালানোর চেষ্টা করছে কেউ কেউ। আবার এ গ্রামের কেউ অন্য গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করলে ধাওয়া করা হচ্ছে তাদের। তবে গ্রাম জুড়ে পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে এখনও গ্রাম থেকে কেউ পালাতে পারেনি।
রবিবার বিকালে সরজমিনে গিয়ে জানা যায় ঐ গ্রামে প্রায় তিন শতাধিক পরিবার রয়েছে। যার অধিংকাংশই দিন মজুর। গ্রামের সবাই বাসায় থাকার কারনে তাদের মাঝে দেখা দিয়েছে চরম খাদ্য সংকট। এরই মধ্যে আজ প্রধানমন্ত্রীর ত্রান ভান্ডার থেকে এই গ্রামের শতাধিক গরীব মানুষের মাঝে ৭ দিনের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি খাদ্য সামগ্রীর পাশাপাশি ওই গ্রামরে গরীব মানুষদের বাড়িতে জীবানু নাশক পাউডার বিতরণ করেন।
গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে আমরা সচেতনতা অবলম্বণ করছি এবং প্রশাসনের নির্দেশনা মেনে চলছি। কিন্তু আমাদের মাঝে ব্যপক খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। কারন আমরা সবাই দিন মজুর গরীব মানুষ। আমাদের সাহায্যে সবাই এগিয়ে অসুন। ঠাকুরগাঁওয়ের বিত্তবানদের অনুরোধ করবো যেনো আমাদের এলাকায় খাদ্য সংকট নিরসনে কাজ করে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো: জিয়াউর রহমান ক্রান্তিকাল ডট কমকে বলেন, নদীপাহাড় গ্রামটির সবাইকে ঘরে থাকার কথা বলা হয়েছে। গ্রামের কোন মানুষ যেনো ঘর থেকে বের না হয় এবং গ্রামের বাইরে কোথাও যেতে না পারে সে জন্য রাস্তা ব্লক করে দেওয়া হয়েছে। সেই সাথে কঠোর পাহাড়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বর্তমানে এই গ্রাম থেকে কাউকে ঢুকতে ও বের হতে দেওয়া হচ্ছেনা। সবাইকে ঘরে থাকার জন্য বলা হয়েছে এবং সবাইকে সচেতন থাকতে বলা হয়েছে। যেহেতু এই গ্রামের অধিকাংশ মানুষ দিনমজুর গরীব। ফলে এখানে খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। সকলের প্রচেষ্টায় তাদের খাদ্য সংকট নিরসনে কাজ করতে হবে। তাদরে দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিতে হবে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, নদীপাহাড় গ্রামের সবাইকে ঘরে থাকার কথা বলা হয়েছে এবং ওই গ্রামরে শতাধিক পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর ত্রান ভান্ডার থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে সেই সাথে সবাইকে জীবানু নাশক পাউডার দেওয়া হয়েছে।