Highlights

তাইওয়ানের বাহিনীকে গোপনে এক বছর ধরে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

Published

on

নিউজ ডেস্ক:
যুক্তরাষ্ট্র গোপনে তাইওয়ানে স্বল্প সংখ্যক সামরিক প্রশিক্ষকদের একটি দল কমপক্ষে এক বছর ধরে মোতায়েন রেখেছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনার মধ্যে নতুন এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান অনলাইন এ খবর জানিয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ বাহিনীর প্রায় দুই ডজন সেনা এবং অজ্ঞাত সংখ্যক মার্কিন নৌ সেনা তাইওয়ানে সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।

তাইওয়ানে এ প্রশিক্ষকদের প্রথমে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্র্রাম্প পাঠিয়েছিলেন, কিন্তু এ প্রতিবেদন প্রকাশ পর্যন্ত তাদের উপস্থিতির বিষয়টি জানাজানি হয়নি।

এ বিষয় সামনে আসে যখন তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট সাই ইং-ওয়েন গত শুক্রবার ঘোষণা দেন যে, ‘তাইওয়ান তার স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষা করতে সম্ভাব্য সব কিছুই করবে।’

তাইওয়ানের রাজধানী তাইপেইয়ে এক নিরাপত্তা ফোরামে বক্তব্য দানকালে তিনি বলেন, ‘তাইওয়ান সামরিক মোকাবেলা (যুদ্ধ) চায় না।’ তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ, স্থিতিশীল ও পারস্পরিক স্বার্থরক্ষার মাধ্যমে প্রতিবেশির সঙ্গে সহাবস্থান চায় তাইওয়ান।

১৯৭৯ সালের পর দ্বীপটিতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সেনা দীর্ঘদিন অবস্থান করেনি। সে সময় ওয়াশিংটন চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করে।

এ প্রতিবেদন নিয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি পেন্টগনের মুখপাত্র জন সাপল। তবে তিনি বলেছেন, ‘চীন কর্তৃক চলমান হুমকির মধ্যে তাইওয়ানের প্রতি আমাদের সমর্থন ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক ঘনিষ্ট থাকবে।’

তাইওয়ানে প্রশিক্ষক সেনা মোতায়েন নিয়ে সেন্টার ফর নিউ আমেরিক সিকিউরিটির ইন্দো-প্যাসিফিক নিরাপত্তা প্রোগ্রামের কর্মী জেকব স্টোকস বলেন, ‘এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তবে এর উদ্দেশ্য প্রাথমিকভাবে উস্কানি দেয়া নয়। মূলত তাইওয়ানে প্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়ানো এর লক্ষ্য।’

এ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছে চীন। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতি প্রকাশ করে তাইওয়ানকে সামরিক সহযোগিতা না দেয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে আহ্বান জানিয়েছে।

তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চাইলেও চীন মনে করে এটি তাদের একটি প্রদেশ। চীন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘চীন তার সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version