পঞ্চগড় প্রতিনিধি:
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় নিজ মেয়কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আইবুল হক (৪৫) নামে বাবার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মেয়েটির মা মল্লিকা বেগম তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ধর্ষক পিতা আইবুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে বুধবার (১৭ আগস্ট) দিনগত গভির রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে থানায় ৯(১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দম আইন সংশোধনী ২০০৩; ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোর পূর্বক ধর্ষন করার অপরাধে মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত আইবুল পঞ্চগড় সদর উপজেলার সাহেবীজোত গ্রামের সকিন আলী ওরফে শুকুরুর ছেলে। পাথর শ্রমিকের কাজে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধার ঝাড়ুয়াপাড়া গ্রামে ভাড়া বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতো।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৭ বছর আগে মল্লিকা ও আসামী আইবুল হকের বিয়ে হয়। সংসার জীবনে এর মাঝে দুই কন্যা সন্তানের বাবা-মা হয় তারা। বৈবাহিক অবস্থায় আইবুল নারী লোভী বিভিন্ন অপকর্ম করে থাকে। ভিকটিম ১৪ বছর বয়সী মেয়ে দিনাজপুর সদরের একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসায় পড়াশোনা করতো। গত কুরবানী ঈদের ৪/৫ দিন আগে তেঁতুলিয়ার ঝাড়ুয়াপাড়া গ্রামে মজিবর রাহমানের ভাড়া বাড়িতে আসে।
এদিকে আইবুল বাংলাবান্ধা এলাকায় পাথর ভাঙ্গা মেশিনের ড্রাইভার হিসেবে কাজ করতো। গত মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে ভিকটিম মেয়েকে ভাড়া বাড়িতে রেখে বাবার বাড়ি পঞ্চগড় সদরের দশমাইল পতিপাড়া গ্রামে যায় মা মল্লিকা। এর মাঝে একই দিন রাতে মেয়েকে ঝাড়ুয়া পাড়া গ্রামে ভাড়া বাড়িতে একা পেয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে বাবা আইবুল। এক পর্যায়ে ভিকটিক ভয়ে বিষয়টি কাউকে বলতে না পারায় গত বুধবার (১৭ আগস্ট) সন্ধায় মা মল্লিকা ভাড়া বাড়িতে ফিরে আসলে ভিকটিম মেয়ে কান্না করতে করতে সব কিছু মাকে খুলে বলে দেয়। পরে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিসহ ইউপি সদস্যদের অবহিত করে রাতেই মামলার জন্য বাদী হয়ে মল্লিকা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
ওসি আবু সাঈদ চৌধুরী জানান, ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত আসামী পলাতক রয়েছে। তাকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা করছে।