জাতীয়

নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

Published

on

নৌযান শ্রমিকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ানের সঙ্গে নৌযান মালিক ও শ্রমিকদের সংগঠনের বৈঠকের পরে এ ঘোষণা দেয়া হয়।

বিজয়নগরে শ্রম ভবনে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান। সভায় নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিআইডব্লিউটি, শিপিং করপোরেশন, নৌযান মালিক ও শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, বৈঠকে মালিক শ্রমিকরা তাদের দাবি জানিয়েছেন। আমরা তাদের দাবি ও সমস্যাগুলো দেখছি। একমাসের মধ্যে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণে কমিটি করেছি। আর এই একমাস শ্রমিকদের অন্তর্বতীকালীন ভাতা প্রদানের জন্য মালিকপক্ষকে বলেছি।

তিনি বলেন, এরমধ্যে মাঝখানের একটি পক্ষ বিশৃঙ্খলা করেছে। কয়েক জায়গায় হামলা হয়েছে। গ্রেপ্তার ও মামলা হয়েছে। সেটাও আমরা দেখবো। সে মামলাগুলো প্রত্যাহার করা হবে। তাতে আমরা সহযোগিতা করবো বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেছি।

মন্নুজান সুফিয়ান আরও বলেন, নৌমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে শ্রম মন্ত্রণালয় এবং মালিক-শ্রমিকদের মিলে এসব দাবি নিরসনে একটি কমিটি হচ্ছে। একমাসের মধ্যে সব সমস্যা সমাধান হবে। ত্রিপাক্ষিকভাবে আমরা কাজ করবো।

বৈঠকে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি মো. শাহ আলম কর্মবিরতি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, আমরা ১০ দাবি নিয়ে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করছি। আমাদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সভা হয়েছে। শ্রমিকদের মজুরি কাঠামো নির্ধারণে একমাসের মধ্যে কমিটি গঠন ও মামলা প্রত্যাহারসহ অন্যান্য সমস্যা সমাধানে আশ্বস্ত করা হয়েছে। আমরা মনে করি দ্রুত সেগুলো ব্যস্তবায়ন হবে।

শাহ আলম বলেন, এই মুহূর্ত থেকে সব শ্রমিককে কাজে ফিরতে আহ্বান করছি। যাত্রীবাহী লঞ্চের শ্রমিকদেরও যথাযথভাবে যাত্রী পারাপারের জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।

নৌযান শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ও কর্মক্ষেত্রে মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ ১০ লাখ টাকা নির্ধারণসহ বিভিন্ন দাবিতে গত শনিবার দিনগত রাত থেকে সারাদেশে কর্মবিরতি পালন করেছেন নৌযান শ্রমিকরা। কর্মবিরতির কারণে সোমবার বিকেল পর্যন্ত সদরঘাট থেকে কোনো লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। এতে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version