২০২২ সালে সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ১৫ পুলিশ সদস্য ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’ এবং ২৫ জন রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম) পেয়েছেন।
এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৫ সদস্যকে বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা এবং ৫২ জনকে রাষ্ট্রপতি পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা প্রদান করা হয়।
এর আগে সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহের অনুষ্ঠানে সশরীরে অংশ নিতে রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পৌঁছেন। পুলিশ লাইন্সের প্যারেড মাঠে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে তাকে সালাম জানানো হয় এবং একই সঙ্গে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।
প্যারেডের অভিবাদন মঞ্চে প্রধানমন্ত্রীকে সালাম জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
এর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খোলা জিপে চড়ে প্যারেড পরিদর্শন করেন। পুলিশের বিভিন্ন কন্টিনজেন্ট ও পতাকাবাহী দলের প্যারেড পরিদর্শন এবং অভিবাদন গ্রহণ করেন তিনি।
বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন খুলনা রেঞ্জের পুলিশ সুপার কাজী মইন উদ্দিন। তার নেতৃত্বে পরিচালিত প্যারেডে অংশ নেন সহস্রাধিক পুলিশ সদস্য।
পরে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সদস্যদের উদ্দেশে ভাষণ দেন। ভাষণের শেষ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে মহামারির কারণে পুলিশ সপ্তাহ অনুষ্ঠিত হয়নি। এরপর ২০২২ সালে পুলিশ সপ্তাহ হলেও সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী।