জাতীয়

প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত তারা জাতির শত্রু- র‌্যাব মহাপরিচালক

Published

on

সাইফুল ইসলাম কবির, বাগেরহাট: র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ বলেছেন, যারা প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িত তারা জাতির শত্রু। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে কাজ শুরু করেছে র‌্যাব। সুতরাং এধরনের কোন খোজ পেলে আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানানোর জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান। তিনি বলেন, সোমবার থেকে শুরু হওয়া এইচএসসি পরিক্ষার প্রশ্নপত্র র‌্যাবের সদস্যরাও কিনবে। যারা প্রশ্নপত্র ফাঁস করবে তারা র‌্যাবের জালে তাদের ধরা পড়তেই হবে। রবিবার রাতে বাগেরহাট শহরের স্বাধীনতা উদ্যানে বনদসু্যদের আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বরাষ্টমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের হাতে অস্ত্র দিয়ে সুন্দরবনের ৩টি বনদম্যু বাহিনীর ২৭ জন সদস্য আত্মসর্ম্পন করে। তিনি আরো বলেন, ‘ইতিমধ্যে মাদকের বিরুদ্ধে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশে মাদকের বিরুদ্ধেও সাড়াসী অভিযান পরিচালনা করবে র‌্যাব। মাদকের শিকড় এদেশ থেকে উপড়ে ফেলা হবে। দেশের জঙ্গি, সন্ত্রাসী ও বনদম্যুদের বিরুদ্ধে র‌্যাব যেভাবে সফল হয়েছে, মাদকের বিরুদ্ধেও র‌্যাব সফল হবে। বনদম্যুদের হুশিয়ারী উচ্চারণ করে তিনি বলেন, অল্প সময়ের মধ্যে আমরা আত্মসর্ম্পনের সমাপ্তি ঘটাবো। এর মধ্যে যারা আত্মসর্ম্পন করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসবে তারাই রক্ষা পারে। আর যারা ফিরবে না তাদের পরিনতি বনদম্যু হায়দার আলীর মতো হবে (রোববার সকালে বন্দুকযুদ্ধে নিহত)। তিনি বলেন, হায়দার আলী প্রথমে বনদম্যু রাজু বাহিনীর সদস্য ছিল। রাজু আত্মসর্ম্পন করলেও হায়দার আতœসর্ম্পন করেনি। পরে সে মাষ্টার বাহিনীতে যোগ দেয়। মাষ্টার বাহিনীর সদস্যরা আত্মসম্পর্ন করলেও সে আত্মসর্ম্পন করেনি। রোববার ডন বাহিনী, ছোট জাহাংগীর বাহিনী ও ছোট সুমন বাহিনী আত্মসর্ম্পনের প্রস্তুতি নিলে সে নতুন বাহিনী গঠনের চেষ্টা করে। ফলে তার পরিনতি আপনারা সকলেই দেখছেন।

র‌্যাব-৬ এর সিইও খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন, বাগেরহাট-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা. মোজাম্মেল হোসেন, বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য তালুকদার আব্দুল খালেক, বাগেরহাট-২ আসনের সংসদ সদস্য এ্যাড. মীর শওকাত আলী বাদশা, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া, খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হাবিবুর রহমান, বিজিবি খুলনা রেঞ্জের প্রধান ব্রিগেডিয়ার খালেক আল মামুন, র‌্যাব-৮ এর সিইও হাসান ইমন আল রাজীব, বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক তপন কুমার বিশ্বাস, পুলিশ সুপার পঙ্কজ চন্দ্র রায় প্রমুখ। আত্মসমর্পনকারী বাহিনী ৩টি হলো, জাহাঙ্গীর ওরফে ছোট জাহাঙ্গীর বাহিনী, ছোট সুমন বাহিনী ও মেহেদী হাসান ওরফে ডন বাহিনী। এসব দম্যুদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা এবং ১টি মোবাইল ফোন প্রদান করে র‌্যাব। এ সময় বনদম্যুরা তাদের ব্যবহৃত ১৩টি একনলা বন্ধুক, ৩টি বিদেশী দোনলা বন্ধুক, ৪টি ২২ বোর বিদেশী রাইফলে, ৭টি পাইপগান, ১টি বিদেশী ওয়ানশূটারগানসহ ২৮টি আগ্নেয়াস্ত্র এবং ১ হাজার ৮১টি গোলাবারুদ জমা দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version