নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, বঙ্গবন্ধুর শিষ্য, প্রয়াত নেতা আব্দুর রাজ্জাকের ৯ম মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগ। এ উপলক্ষে ঢাকার বনানী কবরস্থানে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করে সংগঠনটি।
সকালে তরুণ প্রজন্মের নেতা মরহুম আব্দুর রাজ্জাক এর সুযোগ্য পুত্র নাহিম রাজ্জাক বনানী কবরস্থানে বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাকিল আহমেদ ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ নুর আলম এর নেতৃত্বে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন। উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সহ মহানগর শাখার বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।
এসময় বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাকিল আহমেদ বলেন- প্রায়ত নেতা আব্দুর রাজ্জাক ভাই ছিলেন আমাদের জন্য রাজনীতি র একজন সম্মানিত ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব। যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগ তার সময়ে রাজপথে অগ্নিঝরা আলো ছড়িয়েছে। তিনি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা রনাঙ্গন যুদ্ধ করে দেশের স্বাধীনতা এনেছেন। আজকে এই মহান নেতার মৃত্যুবার্ষিকীতে জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা এবং আমাদের আজকের দিনের শপথ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর হাতেগড়া এই মহান নেতার আর্দশে আমরা নতুন প্রজন্ম এগিয়ে যাবো।
বাংলাদেশ আওয়ামী মুক্তিযুদ্ধ প্রজন্ম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ নুর আলম বলেন- আজকে প্রায়ত নেতা আব্দুর রাজ্জাক ভাই এর ৯ম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমরা তাকে স্বরণ করছি তার প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা এবং সালাম। তিনি বলেন রাজ্জাক ভাই এর মতো একজন আর্দশিক নেতা তৈরি হতে সময় লাগে মিনিমাম ৫০ বছর। তাকে হারানো জাতির অপূরনীয় ক্ষতি হয়ে গেছে। ৬দফা, ৬৯ এর গনঅভ্যুত্থান,৭০ এর নির্বাচন,৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ, ৭৫ এর ১৫ই আগষ্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শহীদ হবার পরে আওয়ামীলীগের হালধরা, ৯০ স্বৈরাচারী বিরোধী আন্দোলন দলের সামনের কাতার থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং ২১ আগষ্ট গ্রেনেট হামলায় আহত হয়েছেন।
তিনি আরো বলেন- আমরা এই মহান নেতাকে আজীবন শ্রদ্ধাভরে স্বরণ করে যাবো এবং আর্দশকে অনুসরণ করে কাজ করে যাবো এটাই আজকের দিনের শপথ।
আব্দুর রাজ্জাক বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। যুদ্ধাপরাধের বিচার দাবির আন্দোলনে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছেন। আওয়ামী লীগ সরকারের একজন মন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন। সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করাই ছিলো এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের উজ্জ্বল বৈশিষ্ট্য।
এদিকে জাতীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাককে বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছেন অনেক ব্যক্তি ও সংগঠন। তাঁর স্মরণে আব্দুর রাজ্জাক স্মৃতি সংসদ ও আব্দুর রাজ্জাক ফাউন্ডেশন ঢাকার বনানী কবরস্থানে আজ সকাল ৯টায় পুষ্পস্তবক অর্পণ ও মিলাদ মাহফিল আয়োজন করা হয়।
অপরদিকে ডামুড্যা উপজেলা যুব কল্যাণ ট্রাস্টের উদ্যোগে গতকাল মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। প্রধান আলোচক ছিলেন পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। বিশেষ অতিথি হিসেবে অনেকের পাশাপাশি অংশ নেন ইয়াং বাংলার আহ্বায়ক নাহিম রাজ্জাক।