বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বর্তমান সরকার ভীরু ও কাপুরুষ, তাদের কোনো সাহস নেই। আছে শুধু ভয় ও শঙ্কা। যদি সাহস থাকতো তবে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পথ সুগম করার জন্য নির্দলীয় সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতেন।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী সরকার জনবিচ্ছিন্ন হওয়াতে অপরিণামদর্শী স্বৈরাচারী আওয়ামী সরকার এখন হিতাহিত জ্ঞানশূন্য। যেকোন মুহূর্তে পিছলে যাওয়ার ভয়ে তারা পুলিশের ওপর নির্ভর করে মামলা হামলা ও গ্রেপ্তারের শৃঙ্খলে জনগণকে বন্দি করতে সর্বশক্তি নিয়োগ করেছে। পুলিশ মামলা হামলার বন্যা বইয়ে দিয়েছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামসহ সিনিয়র নেতাদের বাসায় তল্লাশির নামে তাণ্ডব চালানো হয়েছে।
রিজভী অভিযোগ করে বলেন, মতিঝিল থানায় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আমিনুল হক, সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এবং আইন বিষয়ক সম্পাদক সানাউল্লাহ মিয়া, পল্টন থানার একটি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ অসংখ্য নেতাদের নামে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, অসাংবিধানিকভাবে কারাগারে আদালত বসিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলার রায় চায় রাষ্ট্রপক্ষ। বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষ আদালতকে বলেছেন, যেহেতু খালেদা জিয়া আদালতে আসতে চাইছেন না, তাই মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করুন। আদালতের কার্যক্রম শেষ করতে লিখিত আবেদনও দিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রের অবৈধ কর্তৃপক্ষ আওয়ামী সরকার চক্রান্তমূলকভাবেই খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে তাকে সাজা দিয়েছে। তা আবারও প্রমাণ করলেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা।