ফিলিপাইন-বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন দেশটির রাষ্ট্রদূত ভিসেন্টে ভিভেনসিও টি ব্যান্ডিলো ।
শনিবার নগরীর আগ্রাবাদস্থ ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে চট্টগ্রাম চেম্বার নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ হতে তৈরি পোশাকজাতসামগ্রী, ওষুধসহ অন্যান্য সম্ভাবনাময় রফতানিসামগ্রী ফিলিপাইনের বাজারে প্রবেশের সুযোগ রয়েছে।
ফিলিপিনো উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা হবে। তিনি উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সরকারি-বেসরকারি খাতের অধিকতর ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
এ সময় চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো. আবদুল মান্নান সোহেল ও তরফদার মো. রুহুল আমিন এবং ফিলিপাইনের অনারারি কনসাল ও বাংলাদেশ ফিলিপাইন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি এম এ আউয়াল উপস্থিত ছিলেন।
চট্টগ্রাম চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন,‘বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধি পেলেও উভয় দেশের মধ্যে বিভিন্ন খাতে বাণিজ্য সম্প্রসারণের আরও সুযোগ রয়েছে।’ তিনি দু’দেশের বেসরকারি খাত এক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে পারে বলে উল্লেখ করে পারস্পরিক বাণিজ্য প্রতিনিধিদল প্রেরণ, সরাসরি যোগাযোগ এবং তথ্য বিনিময়ের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
চেম্বার সভাপতি চট্টগ্রামকে ভবিষ্যতে অর্থনীতির হাব মন্তব্য করে চট্টগ্রামের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে টেক্সটাইল, চামড়া, পাট ও পাটজাতসামগ্রী এবং আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে ফিলিপিনো বিনিয়োগকারীদের আহ্বান জানান।
তিনি বাংলাদেশ থেকে অধিক পরিমাণ আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ওষুধ আমদানি এবং কর্মী হিসেবে প্রকৌশলী ও আইটি বিশেষজ্ঞ নেয়ার কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে ফিলিপিনো রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন।
একই দিন ফিলিপিনো রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি নেতাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
এ সময় সিএমসিসিআই সহসভাপতি এম মাহবুব চৌধুরী বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য যাতে আরও বৃদ্ধি পায় তার জন্য উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও জোরদারের ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।