জাহাঙ্গীর আলম, বালিয়াডাঙ্গী: সোমবার (১৮ জুন) রাত ১০ টায় পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় আসা রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসে বিপাকে পড়েন। কর্তবরত চিকিৎসক না থাকায় স্বেচ্ছাসেবক দিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসার কাজ সমাপ্ত করেন।
উপ সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডাঃ মোস্তাফিজুরের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা দায়িত্বরত চিকিৎসকরা নিয়মিত সেবা দিয়ে যাছি।
কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ রিপন কুমার পাল ঘটনার সময় উপস্থিত থেকে সেবা প্রদান করেন।
সড়ক দূর্ঘটনায় কবলিত লালাপুর গ্রামের রফিজুলের ছেলে মোজাম গুরুতর অসুস্থ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানাযায়, সড়ক দূর্ঘটনায় আজ রোগীর সংখ্যা প্রায় ১৫ জন। তুলনামূলক চিকিৎসক না থাকায় রোগীর সেবা করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
একই সাথে আরো পৃথক সড়ক দূর্ঘটনায় আহত হয় গোয়ালকারী গ্রামের দবিরুলের ছেলে সুয়েল, জিয়াখোর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে কাউসার ও গোয়ালকারী গ্রামের হিরা।
বিক্ষুব্ধ জনতা জানান, ডাক্তারের অবহেলায় হাসপাতালে কোন চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। কর্তব্যরত চিকিৎসকের রুমে তালা দেওয়া, কোন ডাক্তার সময়মত ডিউটি করে না।
তারা বলেন, হাসপাতালে আধুনিক যন্ত্রপাতি থাকার পরেও কোন ওপারেশনের কাজ করা হয় না। তারা নিজেরা ক্লিনিক দিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন। এখানে নরমাল ডেলিভারী পর্যন্ত করানো হয় না। হাসপাতালের কাজ এখন ক্লিনিকে হয়।
সময়মত চিকিৎসক, ঔষধ সরবরাহ দিতে না পারায় এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতাল ঘেরাও করে এবং আর এম ও ডাঃ আবুল কাশেম এর অপসারণ চেয়ে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ শুরু করেন।