টেক এক্সপ্রেস ডেস্ক:
ব্যবহারকারীরা মাইক্রোসফটের বিং সার্চ ইঞ্জিনেও গুগলকেই খোঁজেন। সম্প্রতি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আদালতে এই তথ্য দিয়েছে মার্কিন সার্চ জায়ান্ট গুগল। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের বাজারে অ্যান্টিট্রাস্ট মামলা হয়েছিলো গুগলের বিরুদ্ধে। প্রাথমিক রায়ে গুগলকে পাঁচশ’ কোটি ডলার জরিমানা করে ইউরোপীয় আদালত। সেই জরিমানার আপিল শুনানিতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানের প্ল্যাটফর্মে নিজেদের এই জনপ্রিয়তার কথা বলেছে গুগল।
গুগলের বিরুদ্ধে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মূল অভিযোগ ছিলো, সব স্মার্টফোনে ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে নিজেদের সেবার প্রচলন নিশ্চিত করতে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সাফল্য কাজে লাগিয়ে নির্মাতাদের উপর চাপ সৃষ্টি করেছে গুগল। কিন্তু গুগলের দাবি, তারা চাপ সৃষ্টি করেনি, বরং তাদের সেবাটি বাজারে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয়। “আমরা প্রমাণ জমা দিয়ে দেখিয়েছি যে, বিংয়ে সবচেয়ে বেশি যে শব্দটি লিখে সার্চ করা হয়, সেটি হলো গুগল”– ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সাধারণ আদালতে এই মন্তব্য করেন গুগলের আইনজীবী আলফনসো লামাদ্রিদ। “মানুষ স্বেচ্ছায় গুগল ব্যবহার করে, কোনো চাপের মুখে নয়”, যোগ করেন তিনি।
লামাদ্রিদ আরও বলেন, “সাধারণ অনুসন্ধানের ক্ষেত্রে বাজারে গুগলের শেয়ার ভোক্তা জরিপের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যাতে উঠে এসেছে যে ৯৫ শতাংশ ব্যবহারকারী প্রতিদ্বন্দ্বী সার্চ ইঞ্জিনগুলোর তুলনায় গুগলকেই বেশি পছন্দ করেন।” গুগলকে ইউরোপের আদালত পাঁচশ’ কোটি ডলারের রেকর্ড জরিমানা করে ২০১৮ সালে। বিবিসি বলছে, ২০২১ সালে এসে, জরিমানার বিরুদ্ধে করা আপিলের শুনানিতে নিজস্ব সেবার উপরই জোর দিচ্ছে গুগল। এই প্রসঙ্গে গুগল প্রধান সুন্দার পিচাই এক ব্লগ পোস্টে লিখেছিলেন, গুগল “সবার জন্য আরও বেশি বিকল্পের সুযোগ তৈরি করেছে, কম নয়।”
কিন্তু ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অ্যান্টিট্রাস্ট প্রধান মারগ্রেথ ভেস্টাগার অভিযোগ করেছেন, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস নির্মাতাদের চাপ দিয়ে নিজস্ব সার্চ অ্যাপ ও ক্রোম ওয়েব ব্রাউজার প্রি-ইনস্টল করিয়ে নিয়েছে গুগল এবং একে ডিভাইসের একমাত্র প্রি-ইনস্টলড অ্যাপ হিসেব রাখতে কিছু নির্মাতাতে আর্থিক সুবিধাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।