আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বিএনপিকে উদ্দেশ করে বলেন, তারা ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ মানে না, তারা মুক্তিযুদ্ধ মানে কি-না সন্দেহ আছে। যারা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সমর্থন করেনি, বিরোধিতা করেছে, তাদের মুখোশ আজ উন্মোচিত হয়েছে। বাংলাদেশে বাস করেও তারা পাকিস্তানের সেবা দাস।
ঐতিহাসিক মুজিবনগর দিবস উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার বিকালে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ শাখা আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রমাণিত হয়েছে বিএনপি মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে নির্বাচনের সময়। তারা মুক্তিযুদ্ধকে চেতনায় লালন করে না। বিএনপির প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, যারা ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার হত্যাকারীদের পুরস্কৃত করে আমরা তাদের মুক্তিযোদ্ধা বলে স্বীকার করি না। তারা শুধু নির্বাচনের ইশতেহারে মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে, মানুষকে প্রতারিত করে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, তারা শুধু বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি, আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকেও হত্যার চেষ্টা করেছিল। ২১ আগস্ট বিএনপি সরকার আমাদের নেত্রীকে হত্যার চেষ্টা করেছিল।
ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি এ কে এম রহমতউল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দফতর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, দুর্যোগ ও ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন।
আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে রূপ দিতে ব্যাপক টাকা বিলানো হয়েছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণায় তাদের ষড়যন্ত্র সফল হয়নি।