প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মানুষ শান্তিতে থাকলে বিএনপি অশান্তিতে থাকে। যুক্তফ্রন্টের নামে দুর্নীতিবাজরা এক হয়েছে। তবে জনগণ তাদের ভোট দেবে না। নৌকা মার্কাই জয়ী হবে। ‘যারা মানুষ হত্যাকারীদের সঙ্গে জোট করতে পারে, তাদের মুখে দেশের স্বার্থের কথা মানায় না। দেশের উন্নয়ন চাইলে আগামীতেও নৌকাকে বিজয়ী করতে হবে।
গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের হোটেল হিলটনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া এক সংবর্ধনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সততায় বিশ্বাস করে। সুদখোর-ঘুষখোর, খুনি, দুর্নীতিবাজরা একত্র হয়ে সরকার বিরোধী জোট গড়েছে।
এসব চক্রান্ত সম্পর্কে সজাগ থাকার জন্য প্রবাসীদের আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, সাংবাদিকদের শৃঙ্খলার স্বার্থে এবং জনগণের নিরাপত্তা দিতেই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই আলোকচিত্রী শহিদুল আলম শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উসকানি দিয়েছিলেন।
এর আগে জাতিসংঘের ৭৩তম সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে লন্ডন হয়ে যুক্তরাষ্ট্র পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে রোববার দুপুরে নিউ জার্সির নিউয়ার্ক লিবার্টি বিমানবন্দরে নামেন।
সেখানে তাকে স্বাগত জানান জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন ও যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন।
বিমানবন্দরের বাইরে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রবাসী নেতাকর্মীরা।
১০ দিনের এই সফরে প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেয়ার পাশাপাশি কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে যোগ দেবেন।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের টেকসই সমাধানের পথে প্রতিবন্ধকতাগুলো সেখানে তিনি বিশ্বনেতাদের সামনে তুলে ধরবেন।
অধিবেশনের ফাঁকে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ছাড়াও একাধিক বিশ্বনেতার সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে শেখ হাসিনার।
জাতিসংঘে আসা বিশ্ব নেতাদের সম্মানে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানেও তিনি যোগ দেবেন।
জাতিসংঘে এবারের সফরে ৫০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ব্যবসায়ীদের ২০০ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দলও তার সফরসঙ্গী হয়েছে।