ঠাকুরগাঁও: “যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার মৃত্যুর পর সেনাবাহীনির তত্ত্বাবধানে ঢাকায় নিয়ে আসার পর সমাধিত করা হয়। এসব নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠতে পারে না। আ’লীগ নিজেরাই প্রতারণা করে জনগনকে বিভ্রান্ত করছে। কবর সরানোর বিষয়ে প্রশ্নই আসেনা। যে যুক্তি দেখানো হচ্ছে তা হচ্ছে জনগনের দৃস্টিকে অন্যদিকে সরানোর জন্য। সবকিছুতেই ব্যর্থ হয়ে ভিন্নখাতে নেয়ার চেস্টা করা হচ্ছে। শহীদ জিয়ার কবর সরানো হলে জনগন তা রক্ষা করবে। এটি সরকারের কুরুচিকর অরাজনৈতিক বক্তব্য। জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক তার লাশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়েছিল, যার ময়নাতদন্তেরও রিপোর্ট আছে। জণগণের দৃষ্টি অন্যত্র নেবার জন্য সরকার জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে পড়েছে।”
মঙ্গলবার (০৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল শান্তা কমিউনিটি সেন্টারে দলের কর্মীদের সাথে মত বিনিময়কালে এসব কথা বলেন।
এছাড়া তিনি আরো বলেন, করোনা মোকাবেলা, নির্বাচন, স্বাস্থ্যখাতে দূর্নীতি, জনগনের মৌলিক অধিকার, রাস্ট্র ব্যবস্থাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে আ’লীগ ব্যর্থ হয়েছে। তাই এখন জনগনকে ভিন্নখাতে নিতেই শহীদ জিয়ার কবর সরানো নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। যা কখনো সম্ভব হবে না।আ’লীগের সরকরার সবকিছুতে ব্যর্থ।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, জিয়াউর রহমানের কবর নিয়ে না পড়ে বেকার সমস্যা সমাধানে মন দেন।
বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ দল। ৩ বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল। খালেদা জিয়াকে মিথ্যে মামলায় কারাবরণ করতে হয়েছে। আজ যে রাজনৈতিক সংকট, এই সংকট শুধু বিএনপির নয় এটি সারাদেশের। ফ্যাসিস্ট সরকার চায়না দেশে গণতন্ত্র থাকুক। তারেক রহমানের নেতৃত্বেই এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে উৎখাত করা হবে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বনে গেছে। ভোটে জণগণ আর উপস্থিত হয়না। সরকার চায়না স্বাধীনভাবে ভোট হোক, যোগ্য নেতৃত্ব বেরিয়ে আসুক। তাই আমাদের সিদ্ধান্ত আমরা আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেবোনা।
এসময় জেলা উপজেলা বিএনপি’র শীর্ষ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আনোয়ার হোসেন আকাশ/বিডিপি