ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশে আগমনের আমন্ত্রণ বাতিলের দাবিতে আধিপত্য প্রতিরোধ আন্দোলনের উদ্যোগে গণমাধ্যম ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে মতবিনিময় সভা জাতীয় প্রেসক্লাবের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ১০ মার্চ (বুধবার) সকাল ১১ টায় দুর্নীতি প্রতিরোধ আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুন অর রশিদ খানের সভাপতিত্বে ও নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়।
নাগরিক পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামসুদ্দীন মোদীর বাংলাদেশের আগমনের আমন্ত্রণ বাতিলের যৌক্তিকতা তুলে ধরে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। গণস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, মোদীর আগমনের প্রতিবাদে ভারতীয় দূতাবাস ঘেরাও কর্মসূচি দিতে হবে, কালো পতাকা মিছিল করতে হবে। তিনি বলেন, বাংলার সিকিমায়ন ঠেকাতে হলে সকল বিভেদ ভুলে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। ফেনী নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণের সমালোচনা করে বলেন, ফেনী নদী শতভাগ বাংলাদেশের মালিকানা। তারা ব্রিজ নির্মাণ করে এদেশে তাদের সামরিক বাহিনী ঢুকার রাস্তা করেছে অথবা এদেশ থেকে কারো সহজে পালিয়ে যাওয়ার পথ সৃষ্টি করেছে।
তিনি ট্রানজিট প্রসঙ্গে বলেন, খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকার সময় ট্রানজিট দেয়নি। অথচ শেখ হাসিনা ভারতকে ট্রানজিট দিয়েছে। তিনি এখন ‘র’ এবং ‘মোসাদ’ এর নিয়ন্ত্রণে চলে গিয়েছেন। খালেদা জিয়ার সাথে হাজী সেলিমের রায়ের তুলনা করে তিনি বলেন, বিচারপতিদের বিবেক ঘুমিয়ে গেছে। দেশের বর্তমান ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও শাসনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, এভাবে চলতে থাকলে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলার কেউ থাকবে না। ভারত আমাদেরকে সার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করেছে। তিনি ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, বাকি আছে শুধু পতাকা পরিবর্তন। শুধু বাইরে নয় দেশের ভিতরেও আধিপত্যবাদ বিরাজমান।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা শওকত আমীন, মুক্তিযুদ্ধের কমান্ডার শামসুর রহমান সেলিম, ডেমোক্রেটিক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুদ্দিন মনি, গণস্বাস্থ্যের প্রেস সেক্রেটারী জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু, সাংবাদিক মোহাম্মদ সাখাওয়াত হোসেন ইবনে মঈন চৌধুরী, তৃণমূল নাগরিক আন্দোলনের আহ্বায়ক মফিজুর রহমান লিটন, মুসলিম সমাজের আহ্বায়ক মাসুদ হোসেন, নুুরুল ইসলাম বিপ্লব, এয়াকুব শরীফ, সুলতান মাহমুদ, এন. ইউ. আহম্মেদ, অধ্যাপক সিদ্দিকুর রহমান প্রমুখ।