রংপুর প্রতিনিধি: ‘অন্য বিদ্যালয়ে বদলির আশ্বাসে’ এক শিক্ষকের কাছ থেকে উৎকোচ নেওয়ার অভিযোগে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক উপ-পরিচালককে আটক করেছে দুর্নীতি দমন কশিশন (দুদক)। সোমবার সন্ধ্যায় অধিদপ্তরের রংপুর বিভাগের নিজ কার্যালয় থেকে সিরাজুল ইসলামকে আটক করা হয় বলে দুদক রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানান। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বালিহারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা শারমিন আক্তার তার বাড়ির কাছাকাছি বিদ্যালয়ে বদলির জন্য সিরাজুল ইসলামের কাছে আবেদন করেন। “কিন্তু সিরাজুল হচ্ছে হবে বলে একমাস ধরে তাকে ঘোরাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে তিনি ওই শিক্ষকের কাছে ৬০ হাজার টাকা দাবি করেন। এ বিষয়ে দুদকের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ করেন শিক্ষিকা শারমিন।” জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে ডিডি সিরাজুলের কক্ষে ঢুকে শারমিন ৬০ হাজার টাকা দেন। এ সময় দুদক ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের পরিচালক নাসিম আনোয়ারের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের একটি দল কক্ষে ঢুকে সিরাজুলকে হাতেনাতে আটক করেন। “আমরা ঢাকা থেকে আসা দলকে সহযোগিতা করেছি,” বলেন জাহাঙ্গীর। এ ঘটনায় দুদক ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে দুদক আইনে ডিডি সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে রংপুর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন। পরে তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়। ডিডি সিরাজুল ইসলাম বলেন, “ষড়যন্ত্র করে আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিঞা বলেন, সিরাজুলকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতেই তাকে কারাগারে পাঠানো হবে।