রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুর-৩ আসনে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী জেলা আ’লীগের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট রেজাউল করিম রাজুকে নৌকা মার্কার প্রার্থী রাখার দাবিতে রংপুরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক সংগঠন ও সদর আসনের সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে
মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার (১৪সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় সদর উপজেলার পাগলাপীর বাজারে স্থানীয় জনগন,বিভিন্ন সামাজিক ও আ’লীগের বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের ব্যানারে প্রায় ঘন্টা খানিক মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় সেখানে বক্তারা বলেন,দীর্ঘ দিন পর রংপুর সদর বাসীকে জননেত্রী শেখ হাসিনা নৌকা দিয়েছেন।এই নৌকার পাল তুলতে আমরা সদর বাসী ঐক্যবদ্ধ। আমরা মাঠেও নেমে পড়েছি,নৌকার ব্যাপক সাড়া পেয়েছি। তাই জননেত্রীর কাছে আমাদের আকুল আবেদন আমাদের নৌকার প্রার্থী যেন বহাল থাকে।
এদিকে রংপুর প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সকাল সাড়ে ১১টায় সদর আসনের সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সুশিল সমাজের ব্যানারে এক বিশাল মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।ঘন্টা-ব্যাপি চলা এ মানবন্ধনে বক্তারা বলেন,বারবার রংপুরের এই গুরুত্বপূর্ণ আসনটি মহাজোটের কারণে ছেড়ে দিতে হয়েছে। জাতীয় পার্টি দীর্ঘদিন আসনটি ধরে রাখার কারণে আমরা শুরু থেকেই উন্নয়ন থেকে বঞ্চিত। এবার আর কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবে না। যেকোনো মূল্যে এই আসনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থী রেজাউল করিম রাজুকে উন্নয়নের জন্য বহাল রাখতে হবে।
অন্যদিকে বেলা ১২টার দিকে রংপুরের পার্ক মোড় এলাকায় রংপুরের সাধারন শিক্ষার্থীদের ব্যানারে এক মানবন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় প্রায় কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২ শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীরা এ মানববন্ধনে অংশ গ্রহন করেন।
এছাড়াও নগরীর প্রবেশ দ্বার দমদমা ব্রিজের উত্তর দিকে মহাসড়কে পাশে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এর সর্বস্তরের জনগনের ব্যানারে বেলা ১টার দিকে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম রাজুকে বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।এসময় সেখানে শত শত পুরুষ-মহিলা প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানিয়ে বলেন, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের প্রতীক নৌকা তাই এই আসনে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম রাজুর বিকল্প নাই। তারা আরও বলেন,সিটি কর্পোরেশন এর দীর্ঘ দিন থেকে কোনো উন্নয়ন হয় নি।এর বড় কারন সরকার দলীয় একজন জনপ্রতিনিধি না থাকায়। তাই এবার সদর আসনের মানুষ আর ভূল করতে চায় না, তারা ৫ই অক্টোবর নৌকায় ভোট দেওয়ার সুযোগের অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রীর নিকট।
উল্লেখ্য, গত ১৪ জুলাই এরশাদের মৃত্যুতে আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ৫ অক্টোবর ভোটগ্রহণ হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৬ সেপ্টেম্বর। এবং এরই মধ্যে এখানে দেশের বড় তিন রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় প্রার্থী ঘোষনা করেছেন।