রংপুরের কাউনিয়া স্টেশনে ট্রেনের ইঞ্জিন পরিবর্তনের সময় সংঘটিত দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবেন।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) বিকেলে সান্তাহার থেকে ছেড়ে আসা পঞ্চগড়গামী উত্তরবঙ্গ মেইল সেভেনআপ ট্রেনটি কাউনিয়া স্টেশনে (জংশন) পৌঁছালে এর ইঞ্জিন পরিবর্তন করার কাজ চলছিল। এ সময় চালক ইঞ্জিনের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় ট্রেনের প্রথম ও দ্বিতীয় বগির প্রচণ্ড বেগের ধাক্কায় মাঝের অংশ ভেঙে দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে বগির ভেতরে কাটা পড়ে আপেল মাহমুদ নামে এক শিক্ষার্থী মারা যান। আহত হন শিশু, নারী ও পুরুষসহ অন্তত ২৫ জন যাত্রী।
এদিকে এ দুর্ঘটনার পর থেকে ওই ট্রেনের চালক ও সহকারী চালক পালাতক রয়েছেন।
কাউনিয়া স্টেশন মাস্টার বাবু আল রশিদ জানান, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি হয়েছে। এছাড়াও চালকের কোনো দোষ রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখার জন্য রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল লালমনিরহাট ডিভিশনের বিভাগীয় কর্মকর্তারা কাউনিয়াতে আসছেন।
রংপুর ফায়ার সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা খুরশীদ আলম জানান, তারা ঘটনাস্থল থেকে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে। গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে তিন-চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।