কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে যেকোন সময় আলোচনায় বসতে চান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সোমবার হোয়াইট হাউসে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জুসপে কোন্টের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। খবর বিবিসির।
ট্রাম্প বলেন, এ আলোচনা কেবল আমেরিকা বা ইরানের জন্যই ভালো হবে না, বরং গোটা বিশ্বের জন্য ভালো। কোনো পূর্বশর্ত নেই। যদি তারা আলোচনায় বসতে চান, তা হলে আমিও আলোচনায় বসব।
তবে ট্রাম্পের সর্বশেষ এ বক্তব্যে সবাই সন্দেহের চোখে দেখছেন। কারণ তার আগের কার্যকলাপ ও হুমকির সঙ্গে তা সম্পূর্ণ সাংঘর্ষিক। তিনি গত সপ্তাহে ইরানকে ‘নজিরবিহীন শিক্ষা’ দেয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। এর আগে গত মে মাসে পাশ্চাত্যের সঙ্গে ইরানের স্বাক্ষরিত পরমাণু সমঝোতা বা জেসিপিওএ থেকে আমেরিকাকে বের করে নিয়ে তেহরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেছেন।
এত কিছুর পর হঠাৎ করে এভাবে কেন তিনি ইউটার্ন নিচ্ছেন তা অনেকের কাছেই বোধগম্য নয়।
ইতালির প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি বিশ্বাস করি শেষ পর্যন্ত তারা (ইরান) আমাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইবেন।
তিনি আরও বলেন, তারা যখন চাইবেন, তখনই আমি তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে রাজি। এটি আমাদের শক্তিমত্তা বা দুর্বলতা প্রকাশ করা নয়। আমি মনে করি, এ মুহূর্তে এটিই একটি উপযুক্ত কাজ।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি এখনও ট্রাম্পের সর্বশেষ এ প্রস্তাবের ব্যাপারে কোনো প্রতিক্রিয়া দেখাননি। তবে তার অন্যতম উপদেষ্টা হামিদ আবু তালেবি এক টুইটার বার্তায় বলেছেন, আলোচনায় বসতে হলে আমেরিকাকে সবার আগে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে হবে।