বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য বিশ্বব্যাংক ৫ কোটি ডলার সহায়তা দিচ্ছে।
রোহিঙ্গাদের স্বাস্থ্যের উন্নয়নের লক্ষ্যে এ সহায়তার মধ্যে রয়েছে ৪ কোটি ১৬ লাখ ৭০ হাজার ডলার অনুদান এবং ৮৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঋণ।
আজ বৃহস্পতিবার বিশ্বব্যাংক ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সম্মেলনকক্ষে এ ঋণ ও অনুদান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ইআরডি সিনিয়র সচিব কাজী শফিকুল আযম এবং বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান। এ সময় দুই সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কক্সবাজার জেলার স্থানীয় জনগণসহ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের এইচএনপিসহ অন্যান্য সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এ সহায়তা দেয়া হয়। স্বাস্থ্য ও পরিবার-কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার-কল্যাণ বিভাগের অধীনে এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হবে।
৮৩ লাখ ৩০ হাজার ডলার ঋণ দেয়া হচ্ছে বিশ্বব্যাংকের আইডিএ শাখা থেকে। এই অর্থ দিচ্ছে কানাডা সরকার। কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এই ঋণের অর্থ পরে অনুদানে পরিণত হবে বলে ইআরডি থেকে জানানো হয়েছে।
ইআরডি সচিব কাজী সফিকুল আযম বলেন, মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের বেশিরভাগই হল নারী ও শিশু। তাদের এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বাস্থ্যসেবার।
বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফান বলেন, কুতুপালং ক্যাম্পসহ প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা কক্সবাজারে আশ্রয় নিয়েছেন। তারা বিভিন্ন রোগের ঝুঁকি মোকাবেলা করছে। বিশ্বব্যাংকের এই অনুদান সরকারের পরিকল্পনা ও রোহিঙ্গাদের জন্য স্বাস্থ্য, পুষ্টিসেবা প্রকল্পে সহায়তা করবে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য এটি বিশ্বব্যাংক সিরিজের প্রথম অর্থায়ন।