দেশজুড়ে

রৌমারীতে স্বেচ্ছাশ্রমে ৩ কি:মি জুরে বাঁশ ও গাছ দিয়ে নদীভাঙ্গন প্রতিরোধের চেষ্টা

Published

on

শাহাদত হোসেন, রৌমারী: রৌমারী উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের বলদমারা ঘাট, বাগুয়ারচর, বাইসপাড়াসহ প্রায় ৩ কিলোমিটার এলাকা জুরে ব্রহ্মপুত্র নদীর ভয়াবহ ভাঙ্গন ঠেকানোর জন্য এলাকবাসি বাঁশ ও গাছ ফেলে নদীর তীর রক্ষার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এসব চেষ্টা করছেন প্রায় ১৫টি গ্রামের মানুষ। তারা কাধে কাধ মিলিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে বাঁশ ও গাছের ঠাল ফেলে ভয়াবহ ভাঙ্গনরোধ করার চেষ্টা চলছে। এজন্য গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাঁশ ও বিভিন্ন প্রকার গাছ উঠানো হচ্ছে। নদী ভাঙ্গন বিষয়ে ইতিমধ্যে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে ২আগষ্ট (বৃহস্পিতিবার) দুপুরের দিকে কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ডের রৌমারী উপজেলার কর্মকর্তা এসও চঞ্চল ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি চরবন্ধু হাজি মুরাদ লতিফ বীরমুক্তিযোদ্ধা, নদীভাঙ্গন প্রতিরোধ বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বন্দবেড় ইউনিয়ন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি মো.আব্দুল কাদের সরকার, নদীভাঙ্গন প্রতিরোধ বাস্তবায়ন কমিটির সাধারন সম্পাদক ও বন্দবেড় ইউনিয়ন শাখার আওয়ামীলীগ সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. আবু হানিফ মাষ্টার প্রমূখ।

উল্লেখ গত কয়েক মাসে নদীতে হারিয়ে গেছে কয়েকশ’ হেক্টর আবাদি জমি। এতে প্রায় ৩শতাধিক পরিবার ঘরবাড়ি, বাপদাদার ভিটেমাটি হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে পড়েছে। ৩ হাজার মানুষ ভূমিহীনে পরিণত হয়েছে। ভাঙ্গন প্রতিরোধ করা না গেলে বর্ষা মৌসুমে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হবে। ফলে রৌমারী উপজেলা মুক্তিযোদ্ধের মুক্তাঞ্চল বাংলাদেশের মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Exit mobile version